বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে?

মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে অনেকের মনে একটি প্রশ্ন সবসময় ঘোরে- এতক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে? ফ্রান্সের জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (ANSES) তাদের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে ক্যানসারের কোনো প্রমাণিত সম্পর্ক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।  সংস্থাটি প্রায় এক হাজার বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা পর্যালোচনা করে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ২৫০টি গবেষণার ডেটা বিশ্লেষণ করেছে, যেখানে মোবাইল ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। আনাদোলু এজেন্সিও এর নিশ্চয়তা দিয়েছে। ফরাসি চ্যানেল BFM TV–ও জানিয়েছে যে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গের সংস্পর্শে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়নি। ANSES’এর ইউনিট প্রধান অলিভার মার্কেল বলেছেন, বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত, কারণ এখন খুব ছোট বয়স থেকেই সবাই রেডিওফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গের সংস্পর্শে আসে। যদিও এ পর্যন্ত কোনো সরাসরি ঝুঁকি পাওয়া যায়নি, তবুও শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। কারণ শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সময় বেশি এবং তারা সম্ভাব্য প্রভাবের প্রতি কিছুটা বেশি সংবেদনশীল হতে পারে। কিছু

বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে?

মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে অনেকের মনে একটি প্রশ্ন সবসময় ঘোরে- এতক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে? ফ্রান্সের জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (ANSES) তাদের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে ক্যানসারের কোনো প্রমাণিত সম্পর্ক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। 

সংস্থাটি প্রায় এক হাজার বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা পর্যালোচনা করে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ২৫০টি গবেষণার ডেটা বিশ্লেষণ করেছে, যেখানে মোবাইল ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। আনাদোলু এজেন্সিও এর নিশ্চয়তা দিয়েছে। ফরাসি চ্যানেল BFM TV–ও জানিয়েছে যে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গের সংস্পর্শে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়নি।

ANSES’এর ইউনিট প্রধান অলিভার মার্কেল বলেছেন, বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত, কারণ এখন খুব ছোট বয়স থেকেই সবাই রেডিওফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গের সংস্পর্শে আসে। যদিও এ পর্যন্ত কোনো সরাসরি ঝুঁকি পাওয়া যায়নি, তবুও শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। কারণ শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সময় বেশি এবং তারা সম্ভাব্য প্রভাবের প্রতি কিছুটা বেশি সংবেদনশীল হতে পারে।

কিছু ল্যাব গবেষণায় দেখা গেছে, রেডিওফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গের সংস্পর্শে কোষে সাময়িক কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তবে আশার বিষয় হলো - সংস্পর্শ কমার পর কোষ আবার দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। অর্থাৎ এসব পরিবর্তন স্থায়ী নয় এবং এখনো পর্যন্ত এগুলোকে ক্ষতিকর বলা যায় না।

ANSES আরও জানায় যে ইয়ারফোন, হ্যান্ডস-ফ্রি বা স্পিকারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের শরীর সরাসরি যেসব তরঙ্গ পায় তা কমেছে। তবে 4G, 5G, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারের বৃদ্ধি এবং অ্যান্টেনার সংখ্যা বাড়ায় পরিবেশে তরঙ্গের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। তবুও এই মাত্রাকে বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ বলা যায় না, কারণ তা এখনো নিরাপদ সীমার মধ্যেই রয়েছে।

সংক্ষেপে বলা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা ভালো, বর্তমান গবেষণার ভিত্তিতে বলা যায় যে নিয়মিত মোবাইল ব্যবহারের কারণে ক্যানসারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow