বোরখা পরে পার্লামেন্টে আসা সেই সিনেটরের পদ স্থগিত
বোরখা পরে পার্লামেন্টে আসা অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর পলিন হ্যানসনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) পার্লামেন্টে বোরখা পরে প্রবেশ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে প্রতিবাদ জানান তিনি। এ জন্য তার পদ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার এই কাজের জন্য অন্যান্য সিনেটররা তাকে নিন্দা জানিয়েছেন এবং পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা করা হয়েছে। একজন সহকর্মী তাকে ‘স্পষ্টভাবে বর্ণবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়েছেন। কুইন্সল্যান্ডের এই সেনেটর একটি বিল প্রবর্তন করতে চাইছিলেন যা জনসম্মুখে পূর্ণ মুখোশ পরিধান নিষিদ্ধ করবে। এজন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। হ্যানসন দ্বিতীয়বারের মতো বোরখা পরে পার্লামেন্টে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, তার এই পদক্ষেপটি ছিল সেনেট তার বিলটি প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিবাদের অংশ হিসেবে। সোমবার অন্যান্য আইনপ্রণেতারা তার বিলটি আনার বিরোধিতা করলে তিনি আবার কালো বোরকা পরে ফিরে আসেন। গ্রিনস দলের সেনেটর মেহরিন ফারুকি বলেন, তিনি বর্ণবাদী সিনেটর, স্পষ্টভাবে বর্ণবাদ প্রদর্শন করছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্
বোরখা পরে পার্লামেন্টে আসা অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর পলিন হ্যানসনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) পার্লামেন্টে বোরখা পরে প্রবেশ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে প্রতিবাদ জানান তিনি। এ জন্য তার পদ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার এই কাজের জন্য অন্যান্য সিনেটররা তাকে নিন্দা জানিয়েছেন এবং পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা করা হয়েছে। একজন সহকর্মী তাকে ‘স্পষ্টভাবে বর্ণবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়েছেন। কুইন্সল্যান্ডের এই সেনেটর একটি বিল প্রবর্তন করতে চাইছিলেন যা জনসম্মুখে পূর্ণ মুখোশ পরিধান নিষিদ্ধ করবে। এজন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
হ্যানসন দ্বিতীয়বারের মতো বোরখা পরে পার্লামেন্টে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, তার এই পদক্ষেপটি ছিল সেনেট তার বিলটি প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিবাদের অংশ হিসেবে।
সোমবার অন্যান্য আইনপ্রণেতারা তার বিলটি আনার বিরোধিতা করলে তিনি আবার কালো বোরকা পরে ফিরে আসেন।
গ্রিনস দলের সেনেটর মেহরিন ফারুকি বলেন, তিনি বর্ণবাদী সিনেটর, স্পষ্টভাবে বর্ণবাদ প্রদর্শন করছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের সিনেটর ফাতিমা পইম্যান এই ঘটনাকে ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং মঙ্গলবার হ্যানসনের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, হ্যানসন দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদ হিসেবে পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করে আসছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রস্তাবটি ৫৫ ভোটের বিপরীতে ৫ ভোটে পাস হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, হ্যানসনের কর্মকাণ্ড ‘ধর্মীয় কারণে মানুষকে অপমান এবং হাস্যকর করার উদ্দেশ্যে ছিল’ এবং এটি ‘মুসলিম অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি অসম্মানজনক’।
ওং আগের দিন দাবি করেছিলেন, হ্যানসন অস্ট্রেলিয়ান সেনেটের একজন সদস্য হিসেবে যোগ্য নন। এদিকে ফেসবুকে এক পোস্টে হ্যানসন লিখেছেন, যদি তারা আমাকে এটি পরতে দিতে না চায়, তবে বোরকা নিষিদ্ধ করুন।
এর আগেন তিনি ২০১৭ সালে প্রথমবার পার্লামেন্টে বোরকা পরে প্রবেশ করেছিলেন। সেবারও তিনি জাতীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে দাবি করেছিলেন।
What's Your Reaction?