ব্যস্ত সড়কে ৬ বছর ধরে বেলালের নীরব প্রতিবাদ

রোববার ভর দুপুর। চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট থেকে লালখান বাজারের পথে টাইগারপাস মোড়ে চোখ আটকে যায় এক অদ্ভুত দৃশ্যে। ব্যস্ত সড়কের মাঝের বিভাজকে দাঁড়িয়ে আছেন বিশেষ পোশাক পরা এক ব্যক্তি। মাথায় হেলমেট, হাতে দুটি প্ল্যাকার্ড। পোশাক, হেলমেট আর প্ল্যাকার্ড; সবকিছুতেই লেখা পরিবেশ দূষণবিরোধী নানা বার্তা। কাছে যেতেই স্পষ্ট হয় বিষয়টি। মানুষকে সচেতন করতেই তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির নাম মো. বেলাল উদ্দীন। তিনি পেশায় একজন শিপিং কর্মকর্তা। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি দাঁড়িয়ে যান নগরীর বিভিন্ন সড়কে। তার উদ্দেশ্য নীরব প্রতিবাদ ও জনসচেতনতা তৈরি। ধুলোবালি, হর্ন, ঝড়-বৃষ্টি কিংবা প্রখর রোদ; কোনোকিছুই তাকে আটকাতে পারে না। সপ্তাহে দু-তিন দিন সাত থেকে আট ঘণ্টা করে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরই মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ২০টিতে এই কার্যক্রম চালিয়েছেন। তার প্ল্যাকার্ডে লেখা—‘অযথা হর্ন-মাইক নয়’, ‘গুজবে গজব’, ‘দূষণে ধ্বংস’, ‘দায়িত্ব-কর্তব্যে সচেতনতার চর্চা করি’। হেলমেটে লেখা—‘সচেতনতাই মুক্তি’। আর ভিন্নধর্মী পোশাকে লেখা—‘আমার আজকের শপথ, আত্মসচেতনতাই মুক্ত

ব্যস্ত সড়কে ৬ বছর ধরে বেলালের নীরব প্রতিবাদ

রোববার ভর দুপুর। চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট থেকে লালখান বাজারের পথে টাইগারপাস মোড়ে চোখ আটকে যায় এক অদ্ভুত দৃশ্যে। ব্যস্ত সড়কের মাঝের বিভাজকে দাঁড়িয়ে আছেন বিশেষ পোশাক পরা এক ব্যক্তি। মাথায় হেলমেট, হাতে দুটি প্ল্যাকার্ড। পোশাক, হেলমেট আর প্ল্যাকার্ড; সবকিছুতেই লেখা পরিবেশ দূষণবিরোধী নানা বার্তা। কাছে যেতেই স্পষ্ট হয় বিষয়টি। মানুষকে সচেতন করতেই তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির নাম মো. বেলাল উদ্দীন। তিনি পেশায় একজন শিপিং কর্মকর্তা। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি দাঁড়িয়ে যান নগরীর বিভিন্ন সড়কে। তার উদ্দেশ্য নীরব প্রতিবাদ ও জনসচেতনতা তৈরি। ধুলোবালি, হর্ন, ঝড়-বৃষ্টি কিংবা প্রখর রোদ; কোনোকিছুই তাকে আটকাতে পারে না। সপ্তাহে দু-তিন দিন সাত থেকে আট ঘণ্টা করে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরই মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ২০টিতে এই কার্যক্রম চালিয়েছেন।

তার প্ল্যাকার্ডে লেখা—‘অযথা হর্ন-মাইক নয়’, ‘গুজবে গজব’, ‘দূষণে ধ্বংস’, ‘দায়িত্ব-কর্তব্যে সচেতনতার চর্চা করি’। হেলমেটে লেখা—‘সচেতনতাই মুক্তি’। আর ভিন্নধর্মী পোশাকে লেখা—‘আমার আজকের শপথ, আত্মসচেতনতাই মুক্তির পথ’।

ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের বিষয়ে বেলাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘২০১৯ সালে করোনার সময় থেকে এই প্রচারণা শুরু করেছি। টানা ছয় বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছি। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে যেতে চাই। এরই মধ্যে ২০টির বেশি ওয়ার্ডে ডোর-টু-ডোর সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তায় দাঁড়ানোর ইচ্ছা আছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে মনের উন্নয়ন ও সচেতনতার বিকাশ জরুরি। আমি সচেতন হলে আরেকজন হবে, ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়বে সবার মাঝে। আমাদের প্রতিটি জায়গায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। আমি চাই সুস্থ প্রতিযোগিতার চর্চা হোক।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow