ব্রাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ফের পদত্যাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগের পর দ্বিতীয়বার পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফের পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধান কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহ্জামান। পদত্যাগপত্রে ‘পারিবারিক কারণ’ দেখিয়েছেন তিনি। এর আগে প্রথমবার গঠিত কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. ফেরদৌস রহমানও দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে টানা দুবার প্রধান কমিশনারের সরে দাঁড়ানোয় ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এদিকে বুধবার বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সভা চলাকালে সভাকক্ষের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, সংকট সমাধান করে শীতকালীন ছুটির আগে এ বছরের মধ্যেই ব্রাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের দুই তলায় সিন্ডিকেট সভা কক্ষের বাইরে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, নির্বাচন বানচাল করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগের পর দ্বিতীয়বার পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফের পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধান কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহ্জামান। পদত্যাগপত্রে ‘পারিবারিক কারণ’ দেখিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথমবার গঠিত কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. ফেরদৌস রহমানও দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে টানা দুবার প্রধান কমিশনারের সরে দাঁড়ানোয় ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এদিকে বুধবার বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সভা চলাকালে সভাকক্ষের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, সংকট সমাধান করে শীতকালীন ছুটির আগে এ বছরের মধ্যেই ব্রাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের দুই তলায় সিন্ডিকেট সভা কক্ষের বাইরে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, নির্বাচন বানচাল করতে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, তবে তারা নির্বাচন আদায় করে ছাড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, পরপর দুবার নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ আমাদের কাছে ব্রাকসু বানচালের নাটক হিসেবে দেখছি। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করে নিতে আজ আমাদের এখানে অবস্থান। শীতকালীন ছুটির ইস্যুকে সামনে নিয়ে একটি মহল ব্রাকসু বানচালের স্বপ্নে বিভোর। তারা ছুটির পূর্বেও নির্বাচন চায় না এমনকি ছুটির পরেও নির্বাচন চায় না। তাদের একটাই উদ্দেশ্যে ব্রাকসু বানচাল করা। তাই আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট আমরা ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা মানবো না।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আহমাদুল হক আলবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনে প্রশাসন ব্যর্থ হলে তারা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন।
তিনি বলেন, শীতকালীন ছুটির আগে ব্রাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবি নিয়ে তারা সিন্ডিকেট সভাকক্ষের বাইরে অবস্থান করছেন। দাবি আদায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে কথা বলবেন।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬তম সিন্ডিকেট সভায় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ছয় সদস্যের ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এতে ড. ফেরদৌস রহমানকে প্রধান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কমিশন গঠনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর ১১ নভেম্বর ১১৭তম সিন্ডিকেট সভায় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে ড. শাহ জামানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। জুলাই আন্দোলনের পর ব্রাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। কয়েক দফা অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন শেষে গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯’-এ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ আইনের অনুমোদন দেন।
What's Your Reaction?