ব্র্যাকের ‘কার্নিভাল অব চেঞ্জ’: স্বীকৃতি পেলো ৩ উদ্যোগ
নারকেলের খোলস দিয়ে তৈরি ‘পরিবেশবান্ধব কয়লা’ প্রদর্শনী করা হয় ব্র্যাকের এক প্রদর্শনীতে। সেই কয়লা ব্যবহার করা যায় জ্বালানি হিসেবে। ‘জলশিখা’ দলের স্টলে এমনটা দেখা যায়। এই উদ্যোগ নিয়ে দলটির সদস্য নাজমুল খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রায় ১০০ কেজি কয়লা চট্টগ্রামের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বিক্রি করেছি। আগামীতে এই কয়লা দিয়ে কসমেটিক্সসহ অন্যান্য উপকরণ বানানোর চেষ্টা করছি। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সাভারের বিডিএমএতে ‘কার্নিভাল অব চেঞ্জ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্র্যাক, সেখানে জলশিখার মতো ১২টি দল প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। এদিন বিকেলে ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ ঘোষণা করা হয়। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০টি দল আবেদন করে, এর মধ্যে ১২টি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত হয়। সেখান থেকে তিনটি দল পুরস্কার জিতে নেয়। দলগুলো হল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য অডিওবুক ‘স্টোরিজ অব ইনক্লুশন’, নারকেলের খোলস থেকে পরিবেশবান্ধব কয়লা তৈরির প্রকল্প ‘জলশিখা’ এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক খেলনা তৈরির প্রকল্প ‘গুডডু টয়েজ’। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এবারের বিজয়ীরা পা
নারকেলের খোলস দিয়ে তৈরি ‘পরিবেশবান্ধব কয়লা’ প্রদর্শনী করা হয় ব্র্যাকের এক প্রদর্শনীতে। সেই কয়লা ব্যবহার করা যায় জ্বালানি হিসেবে। ‘জলশিখা’ দলের স্টলে এমনটা দেখা যায়।
এই উদ্যোগ নিয়ে দলটির সদস্য নাজমুল খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রায় ১০০ কেজি কয়লা চট্টগ্রামের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বিক্রি করেছি। আগামীতে এই কয়লা দিয়ে কসমেটিক্সসহ অন্যান্য উপকরণ বানানোর চেষ্টা করছি।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সাভারের বিডিএমএতে ‘কার্নিভাল অব চেঞ্জ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্র্যাক, সেখানে জলশিখার মতো ১২টি দল প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
এদিন বিকেলে ‘আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ ঘোষণা করা হয়। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০টি দল আবেদন করে, এর মধ্যে ১২টি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত হয়। সেখান থেকে তিনটি দল পুরস্কার জিতে নেয়।
দলগুলো হল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য অডিওবুক ‘স্টোরিজ অব ইনক্লুশন’, নারকেলের খোলস থেকে পরিবেশবান্ধব কয়লা তৈরির প্রকল্প ‘জলশিখা’ এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক খেলনা তৈরির প্রকল্প ‘গুডডু টয়েজ’। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এবারের বিজয়ীরা পাবেন ব্র্যাকের সোশ্যাল এন্টারপ্রেনার্স ফেলোশিপ।
উদ্যোক্তারা জানান, এর মধ্য দিয়ে বিক্রির পাশাপাশি তারা তাদের কাজের প্রচারণার সুযোগও পেয়েছেন।
তরুণদের উদ্ভাবন আর সৃজনশীলতার প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শনিবার শুরু হয় ব্র্যাকের ‘কার্নিভাল অব চেঞ্জ ২০২৫’ অনুষ্ঠান। সাভারের ব্র্যাক সিডিএমএতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীর পাশাপাশি মতবিনিময়, আলোচনা ও কর্মশালাসহ নানা আয়োজন করা হয়। এটি চলবে আজ রোববার পর্যন্ত।
এসব উদ্যোগকে তাদের প্রকল্প তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্র্যাকের ‘আমরা নতুন নেটওয়ার্ক’ (এএনএন)। এএনএন কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণদের নিয়ে। প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপযোগী করে গড়ে তোলতেই ২০১৮ সালে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। দেশের ১৭টি জেলায় এএনএন উদ্যোগের মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০ জনের বেশি তরুণ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তাদের অনেকে গেটস ফাউন্ডেশন, নাসা এবং জাতিসংঘ থেকে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, জীবনে কোনো কিছু ছাড়তে হয় না। যদি একবার রক্তের মধ্যে কিছু মিশে যায়, এর পিছু নিতে হয়। নিজেকে জিজ্ঞেস করো তোমার জীবন কি চায়, তোমার স্বপ্ন কী চায়? স্বপ্নকে অনুসরণ করো। স্বপ্নকে অনুসরণ করলে শীর্ষে পৌঁছে যাবে। জীবনে নতুন কিছু করো।
এসএম/এমআইএইচএস/এমএস
What's Your Reaction?