ভাই হত্যা ধামাচাপা দিতে শেখ হাসিনাকে ‘১০০ কোটি টাকা ঘুষ’

ভাই হত্যার অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘১০০ কোটি টাকা ঘুষ’ দেওয়ার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার একজন উপপরিচালককে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, এবং ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। দুদক জানিয়েছে, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, শেয়ার জালিয়াতি ও প্রতারণার একাধিক মামলা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে প্লট দুর্নীতি মামলায় তিনটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে ট্রান্সকম গ্রুপে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সিইও সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে নিজ ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন তার ছোট বোন শাযরেহ হক। ২০২৪ সালের ২১ মার্চ ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা এ মামলায় সিমিন

ভাই হত্যা ধামাচাপা দিতে শেখ হাসিনাকে ‘১০০ কোটি টাকা ঘুষ’

ভাই হত্যার অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘১০০ কোটি টাকা ঘুষ’ দেওয়ার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার একজন উপপরিচালককে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, এবং ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

দুদক জানিয়েছে, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, শেয়ার জালিয়াতি ও প্রতারণার একাধিক মামলা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে প্লট দুর্নীতি মামলায় তিনটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে ট্রান্সকম গ্রুপে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সিইও সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে নিজ ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন তার ছোট বোন শাযরেহ হক।

২০২৪ সালের ২১ মার্চ ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা এ মামলায় সিমিন রহমান, তার ছেলে—ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসেনসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ জুন গুলশানের বাসায় নিজের শোয়ার ঘরে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাইকোর্ট ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ সিমিন রহমানসহ তিনজনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিবাদকে কেন্দ্র করে শাযরেহ হক আরও তিনটি মামলাও করেছিলেন—যেখানে অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলাগুলোতে ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হন এবং পিবিআই গুলশানে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে বহু নথি জব্দ করে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow