ভারতকে উড়িয়ে সেমিতে পাকিস্তান
দোহায় একটি পুরোনো পরিচিত দৃশ্য আবারও নতুনভাবে ফিরে এলো—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ; কিন্তু উত্তেজনার রাস্তা এবার একেবারেই একপেশে। ব্যাটে-বলে সম্পূর্ণ আধিপত্য দেখিয়ে পাকিস্তান শাহিনস ভারত ‘এ’-কে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে উঠে গেল এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের সেমিফাইনালে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—সব জায়গায় একটাই গল্প, পাকিস্তানের কর্তৃত্ব আর ভারতীয় ব্যাটিং ধস। দোহায় ওয়েস্ট এন্ড পার্ক স্টেডিয়ামে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনাররা শুরুতেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। পাক ওপেনার মাআজ সদাকাত যেন অন্য এক তালে ছিলেন এই ম্যাচে। ম্যাচের প্রথম ৭ ওভারেই দলকে নিয়ে যান ৭৭/১-এ। ৫৫ রানের ওপেনিং জুটিতে সদাকাতের ব্যাট থেকে আসে ধারাবাহিক বাউন্ডারি, আত্মবিশ্বাসী পুল-ড্রাইভ, আর টানা দ্বিতীয় ফিফটির ঘোষণা। নাইম ১৪ রান করে ফিরলেও গতি থামেনি। এরপর ইয়াসির খান ১১ করে আউট হলেও বিজয়ের রাস্তাটি আরও স্পষ্ট হয়ে যায় সদাকাতের ৭৯* (৪৭ বলে, ৭ চার, ৪ ছক্কা) ইনিংসে। সঙ্গে ফাইক ১৬*। মাত্র ১৪ ওভারেই কাজ সেরে ফেলে পাকিস্তান—১৩০-এর পুঁজি যেন বড় রান তাড়ার মতোই সহজ হয়ে যায়। এর আগে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ যেন ভেঙে পড়ার দোরগো
দোহায় একটি পুরোনো পরিচিত দৃশ্য আবারও নতুনভাবে ফিরে এলো—ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ; কিন্তু উত্তেজনার রাস্তা এবার একেবারেই একপেশে। ব্যাটে-বলে সম্পূর্ণ আধিপত্য দেখিয়ে পাকিস্তান শাহিনস ভারত ‘এ’-কে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে উঠে গেল এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের সেমিফাইনালে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—সব জায়গায় একটাই গল্প, পাকিস্তানের কর্তৃত্ব আর ভারতীয় ব্যাটিং ধস।
দোহায় ওয়েস্ট এন্ড পার্ক স্টেডিয়ামে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ওপেনাররা শুরুতেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। পাক ওপেনার মাআজ সদাকাত যেন অন্য এক তালে ছিলেন এই ম্যাচে। ম্যাচের প্রথম ৭ ওভারেই দলকে নিয়ে যান ৭৭/১-এ। ৫৫ রানের ওপেনিং জুটিতে সদাকাতের ব্যাট থেকে আসে ধারাবাহিক বাউন্ডারি, আত্মবিশ্বাসী পুল-ড্রাইভ, আর টানা দ্বিতীয় ফিফটির ঘোষণা।
নাইম ১৪ রান করে ফিরলেও গতি থামেনি। এরপর ইয়াসির খান ১১ করে আউট হলেও বিজয়ের রাস্তাটি আরও স্পষ্ট হয়ে যায় সদাকাতের ৭৯* (৪৭ বলে, ৭ চার, ৪ ছক্কা) ইনিংসে। সঙ্গে ফাইক ১৬*। মাত্র ১৪ ওভারেই কাজ সেরে ফেলে পাকিস্তান—১৩০-এর পুঁজি যেন বড় রান তাড়ার মতোই সহজ হয়ে যায়।
এর আগে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ যেন ভেঙে পড়ার দোরগোড়ায় ছিল শুরু থেকেই। আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ৩০ রানে অর্য়ার বিদায়ের পর ম্যাচটি ভারত আর নিজের দিকে টেনে আনতে পারেনি। সূর্যবংশী-নামন ধীরের ৫৪ রানের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটাই ছিল ভারতের শেষ লড়াই। নামন ৩৫ এবং সূর্যবংশী ৪৫ রান করে ফিরতেই ধস নামে মিডল অর্ডারে—১২ রানের মধ্যে পড়ে ৫ উইকেট!
শাহিদ আজিজ ৩/২৪—ম্যাচের মোড় তার হাতেই ঘোরে। সঙ্গে সদাকাত ও সাদ মসুদ নেন দুটি করে উইকেট। বাকি তিন বোলারও একটি করে উইকেট তুলে নিলে ১৯ ওভারেই ভারত থামে ১৩৬-এ।
গ্রুপ ‘বি’-তে শীর্ষে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান শাহিনস। তাদের পরের প্রতিপক্ষ ১৮ নভেম্বর গ্রুপ ওয়ান ম্যাচে—সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে নতুন উত্তেজনা থাকলেও মাঠে কথাটা স্পষ্ট—এই সংস্করণে ভারত নয়, ছন্দে আছে পাকিস্তানই।
What's Your Reaction?