ভারতীয় যুবককে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ওড়িশায় বেধড়ক পিটুনি

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে গঞ্জাম জেলায় এক মুসলিম যুবককে মারধর করে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করার অভিযোগ ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ভুক্তভোগী রাহুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিবিসির হাতে পৌঁছানো একটি ভিডিওতে কথিত ঘটনার আংশিক দৃশ্য দেখা গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ওড়িশার গঞ্জাম জেলার একটি গ্রামে কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি রাহুল ইসলামের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে তা ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেন। এরপর তাকে ‘বাংলাদেশি’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বলে কটূক্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে মারধর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই স্লোগানগুলো অনেক চরমপন্থী গোষ্ঠী ভারতীয় মুসলমানদের আনুগত্য যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। ঘটনার ভিডিও ও বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি সংগঠন ওড়িশা পুলিশ, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে।  ওড়িশা সরকার চলতি বছরের মার্চে বিধা

ভারতীয় যুবককে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ওড়িশায় বেধড়ক পিটুনি

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে গঞ্জাম জেলায় এক মুসলিম যুবককে মারধর করে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করার অভিযোগ ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ভুক্তভোগী রাহুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিবিসির হাতে পৌঁছানো একটি ভিডিওতে কথিত ঘটনার আংশিক দৃশ্য দেখা গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ওড়িশার গঞ্জাম জেলার একটি গ্রামে কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি রাহুল ইসলামের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে তা ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেন। এরপর তাকে ‘বাংলাদেশি’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বলে কটূক্তি করা হয়।

পরবর্তী সময়ে তাকে মারধর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই স্লোগানগুলো অনেক চরমপন্থী গোষ্ঠী ভারতীয় মুসলমানদের আনুগত্য যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।

ঘটনার ভিডিও ও বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি সংগঠন ওড়িশা পুলিশ, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে। 

ওড়িশা সরকার চলতি বছরের মার্চে বিধানসভায় জানিয়েছিল, রাজ্যে বৈধ নথি ছাড়া বসবাসরত ৩,৭৪০ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সেখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে।

ঘটনাটি নিয়ে এখনো পুলিশের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow