ভিআইপি সুবিধা নিতে নিজেকে অতিরিক্ত সচিব দাবি, যুবক আটক

যশোরে ‘অতিরিক্ত সচিব’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আব্দুস সালাম (৩৩) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সার্কিট হাউসে ভিআইপি সুবিধা নিতে গেলে কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটক প্রতারক যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চি গ্রামের এলাহী বকশি গাজীর ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে প্রতারক সালাম নিজেকে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিআইপি সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তিনি নিজেকে রংপুরের ডিসি হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন। যশোর সার্কিট হাউস কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার সকালে তিনি সার্কিট হাউসের নাম্বারে ফোন করে নিজেকে অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ঢাকা থেকে যশোরে আসছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ যশোর রেল স্টেশনে সরকারি গাড়ি পাঠানোর অনুরোধ করেন। এ অনুযায়ী সার্কিট হাউস কর্তৃপক্ষ গাড়িও পাঠায়। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় সার্কিট হাউসে। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। এরপর তাকে আটকে রাখা হয়। এদিকে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা সেখানে যান। হাজির হন জেলা পরিষদের সিইও এস. এম. শা

ভিআইপি সুবিধা নিতে নিজেকে অতিরিক্ত সচিব দাবি, যুবক আটক

যশোরে ‘অতিরিক্ত সচিব’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আব্দুস সালাম (৩৩) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সার্কিট হাউসে ভিআইপি সুবিধা নিতে গেলে কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আটক প্রতারক যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চি গ্রামের এলাহী বকশি গাজীর ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে প্রতারক সালাম নিজেকে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিআইপি সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তিনি নিজেকে রংপুরের ডিসি হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন।

যশোর সার্কিট হাউস কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার সকালে তিনি সার্কিট হাউসের নাম্বারে ফোন করে নিজেকে অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ঢাকা থেকে যশোরে আসছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ যশোর রেল স্টেশনে সরকারি গাড়ি পাঠানোর অনুরোধ করেন। এ অনুযায়ী সার্কিট হাউস কর্তৃপক্ষ গাড়িও পাঠায়। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় সার্কিট হাউসে। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। এরপর তাকে আটকে রাখা হয়।

এদিকে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা সেখানে যান। হাজির হন জেলা পরিষদের সিইও এস. এম. শাহীনসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। তারাও বিষয়টি যাচাই-বাছাই করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতারক বলে চিহ্নিত হন এবং পরে পুলিশে খবর দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মিলন রহমান/কেএইচকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow