ভিটামিন ডি পাওয়ার সেরা সময় সকালে নাকি বিকেলে
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা হাড় মজবুত রাখে, পেশি শক্তিশালী করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মুড ঠিক রাখে এবং বিপাকের কাজেও সাহায্য করে। তবু ভারত ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক মানুষ প্রচুর সূর্যালোক পেলেও এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগে। বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ভোরবেলা নরম রোদ ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য ভালো। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ভুল। সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. অংশুমান কৌশল বলেন, সকাল ৭টার আগে সূর্যের আলোতে এমন কোনো UVB রশ্মি থাকে না যা ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি তৈরি করার জন্য ত্বকের কোলেস্টেরলকে সূর্যের UVB রশ্মির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে হয়। ডা. কৌশলের মতে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময়টি সবচেয়ে ভালো। এই সময় সূর্যের UVB রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে এবং শরীর কম সময়েই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। পরামর্শ - দিনে ১০–১৫ মিনিট সরাসরি রোদে থাকুন। - হাত, পা এবং মুখ যেন সূর্যালোকে থাকে। - সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না। জানালা থেকে কি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়? অনেকেই জানালার পাশে বসলেই ভিটাম
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা হাড় মজবুত রাখে, পেশি শক্তিশালী করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মুড ঠিক রাখে এবং বিপাকের কাজেও সাহায্য করে। তবু ভারত ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক মানুষ প্রচুর সূর্যালোক পেলেও এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগে।
বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ভোরবেলা নরম রোদ ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য ভালো। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ভুল। সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. অংশুমান কৌশল বলেন, সকাল ৭টার আগে সূর্যের আলোতে এমন কোনো UVB রশ্মি থাকে না যা ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি তৈরি করার জন্য ত্বকের কোলেস্টেরলকে সূর্যের UVB রশ্মির সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে হয়। ডা. কৌশলের মতে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময়টি সবচেয়ে ভালো। এই সময় সূর্যের UVB রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে এবং শরীর কম সময়েই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।
পরামর্শ
- দিনে ১০–১৫ মিনিট সরাসরি রোদে থাকুন।
- হাত, পা এবং মুখ যেন সূর্যালোকে থাকে।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।
জানালা থেকে কি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
অনেকেই জানালার পাশে বসলেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ভেবে ভুল করেন। UVB রশ্মি কাচের মধ্য দিয়ে পার হতে পারে না, তাই জানালার আলো দিয়ে ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।
ভিটামিন ডি ঘাটতির ঝুঁকি এবং সমাধান
যারা বেশি সময় ঘরে থাকেন, দূষণের মধ্যে থাকেন, সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন বা সহজে ঘর থেকে বের হন না - তাদের ভিটামিন ডি কম থাকে। ডা. কৌশল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৮০-৯০% মানুষ ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভোগে। এর ফলে হাড় ক্ষয়, বারবার সর্দি-কাশি, পেশি দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ে।
যারা পর্যাপ্ত রোদ পান না, তারা খাবার থেকে ভিটামিন ডি নিতে পারেন। যেমন- স্যালমন, টুনার মতো চর্বিযুক্ত মাছ, কড লিভার তেল, ডিমের কুসুম, মাশরুম ও দই।
সতর্কতা
- ডিপ ফ্রাই বা অতিরিক্ত তাপে রান্না করলে ভিটামিন ডি নষ্ট হয়ে যায়।
- রক্তে ভিটামিন ডি ২০ এনজি/এমএল-এর নিচে থাকলে সাপ্লিমেন্ট দরকার হতে পারে, তবে ডাক্তার দেখানোর পরই নেওয়া উচিত।
- সাপ্লিমেন্ট সবসময় চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে নিন।
অতিরিক্ত টিপস
- সূর্যের তাপে দীর্ঘ সময় থাকবেন না।
- শিশুদের খুব বেশি সময় সূর্যালোকে রাখবেন না।
- অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত নয়।
- নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা
What's Your Reaction?