ভেঙে ফেলা হবে সিলেটের সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

অবশেষে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সিলেট নগরীর চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সিসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে নগরীর ২৪টি ভবনকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি তালিকা তৈরি করে সিসিক। প্রায় ছয় বছর পার হলেও তালিকায় থাকা চারটি ভবন অপসারণ এবং আরও দুটি ভবন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পুনঃসংস্কার করা ছাড়া বাকি ১৮টি ভবনের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ঢাকা ও নরসিংদীতে কয়েক দফা ভূমিকম্পের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে জরুরি সভার আয়োজন করে সিসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। সভায় সিসিকের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত সব ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আরও কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে কিনা তা যাচাই করতে নতুন করে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে ভাঙা হবে। তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্

ভেঙে ফেলা হবে সিলেটের সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

অবশেষে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সিলেট নগরীর চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত সিসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে নগরীর ২৪টি ভবনকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি তালিকা তৈরি করে সিসিক। প্রায় ছয় বছর পার হলেও তালিকায় থাকা চারটি ভবন অপসারণ এবং আরও দুটি ভবন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পুনঃসংস্কার করা ছাড়া বাকি ১৮টি ভবনের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি ঢাকা ও নরসিংদীতে কয়েক দফা ভূমিকম্পের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে জরুরি সভার আয়োজন করে সিসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।

সভায় সিসিকের প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত সব ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আরও কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে কিনা তা যাচাই করতে নতুন করে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে ভাঙা হবে।

তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য আরও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরা হবে। নিজেদের নিরাপদ রাখতে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে তিনি নগরবাসীকে অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সব সংস্থার কাছে থাকা সব যন্ত্রপাতির ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম প্রমুখ।

আহমেদ জামিল/আরএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow