ভেনেজুয়েলার দ্বিতীয় তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় দ্বিতীয়বারের মতো একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকারের ওপর আরোপিত “ব্লকেড” কার্যকর করতে গিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা, দেশটি একে “চুরি ও জলদস্যুতা” বলে আখ্যায়িত করেছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্যাংকার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পেন্টাগনের সহায়তায় মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযান পরিচালনা করে। নোয়েম বলেন, “নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলের অবৈধ পরিবহন, যা এই অঞ্চলে নার্কো-সন্ত্রাসে অর্থ জোগান দেয়, যুক্তরাষ্ট্র তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। আমরা আপনাদের খুঁজে বের করব এবং থামাব।” তার পোস্টের সঙ্গে প্রায় আট মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যায় একটি মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার সমুদ্রে ভাসমান বড় একটি তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর দিয়ে নিচু দিয়ে উড়ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভেনেজুয়েলার আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ট্যাংকার-
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় দ্বিতীয়বারের মতো একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকারের ওপর আরোপিত “ব্লকেড” কার্যকর করতে গিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা, দেশটি একে “চুরি ও জলদস্যুতা” বলে আখ্যায়িত করেছে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্যাংকার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পেন্টাগনের সহায়তায় মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযান পরিচালনা করে।
নোয়েম বলেন, “নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলের অবৈধ পরিবহন, যা এই অঞ্চলে নার্কো-সন্ত্রাসে অর্থ জোগান দেয়, যুক্তরাষ্ট্র তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। আমরা আপনাদের খুঁজে বের করব এবং থামাব।”
তার পোস্টের সঙ্গে প্রায় আট মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যায় একটি মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার সমুদ্রে ভাসমান বড় একটি তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর দিয়ে নিচু দিয়ে উড়ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভেনেজুয়েলার আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ট্যাংকার-বিরোধী অভিযান। একই সঙ্গে অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ ও বের হওয়া সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকারের ওপর “সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ” আরোপ করা হবে।
ভেনেজুয়েলা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে “গুরুতর আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা” হিসেবে বর্ণনা করেছে। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ এক বিবৃতিতে বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি নতুন বেসরকারি তেলবাহী জাহাজ চুরি ও দখল করেছে এবং জাহাজের নাবিকদের জোরপূর্বক গুম করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই কর্মকাণ্ড শাস্তি ছাড়া যাবে না।” ভেনেজুয়েলা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক সংস্থা এবং বিশ্বের বিভিন্ন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করবে বলেও জানান তিনি।
এই ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র- আলজাজিরা।
What's Your Reaction?