মঙ্গলগ্রহে প্রথমবারের মতো বজ্রপাত শনাক্ত
মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ বা বজ্রপাতের মতো ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহেও বজ্রপাত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার জীবনের চিহ্ন খুঁজে বের করার মিশনে পাঠানো হয়েছিল। চার বছর ধরে এটি জেজেরো ক্রেটার এলাকায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে। রোভারের সুপারক্যাম যন্ত্রের অডিও ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেকর্ডিং থেকে মিনি লাইটনিং নামে পরিচিত ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ শনাক্ত করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে আরও উন্নত যন্ত্র ও সংবেদনশীল ক্যামেরা মঙ্গলে পাঠানো গেলে এ আবিষ্কার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ফ্রান্সের গবেষকদের একটি দল রোভারের মাইক্রোফোনে রেকর্ড করা ২৮ ঘণ্টার অডিও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে সাধারণত ধূলিঝড় বা ডাস্ট ডেভিলের সঙ্গে এসব বৈদ্যুতিক স্রাবের সম্পর্ক থাকে। ডাস্ট ডেভিল হলো ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড়, যা মাটির গরম বাতাস উপরে উঠলে তৈরি হয়—এবং এর ভেতরের ঘূর্ণন বৈদ্যুতিক স্রাব সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণাটির প্রধান লেখক ড. ব্যাপতিস্ত শিদে বলেন, এ ধরনের বৈদ্যুতিক স্রাব এক বড় ধরনের আবিষ্কার। এটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল, জলবায়ু, বাসযোগ
মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ বা বজ্রপাতের মতো ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহেও বজ্রপাত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার জীবনের চিহ্ন খুঁজে বের করার মিশনে পাঠানো হয়েছিল। চার বছর ধরে এটি জেজেরো ক্রেটার এলাকায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে।
রোভারের সুপারক্যাম যন্ত্রের অডিও ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেকর্ডিং থেকে মিনি লাইটনিং নামে পরিচিত ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ শনাক্ত করা হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে আরও উন্নত যন্ত্র ও সংবেদনশীল ক্যামেরা মঙ্গলে পাঠানো গেলে এ আবিষ্কার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ফ্রান্সের গবেষকদের একটি দল রোভারের মাইক্রোফোনে রেকর্ড করা ২৮ ঘণ্টার অডিও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে সাধারণত ধূলিঝড় বা ডাস্ট ডেভিলের সঙ্গে এসব বৈদ্যুতিক স্রাবের সম্পর্ক থাকে।
ডাস্ট ডেভিল হলো ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড়, যা মাটির গরম বাতাস উপরে উঠলে তৈরি হয়—এবং এর ভেতরের ঘূর্ণন বৈদ্যুতিক স্রাব সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ড. ব্যাপতিস্ত শিদে বলেন, এ ধরনের বৈদ্যুতিক স্রাব এক বড় ধরনের আবিষ্কার। এটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল, জলবায়ু, বাসযোগ্যতা এবং ভবিষ্যতের রোবোটিক ও মানব অনুসন্ধানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
গবেষকেরা মনে করছেন, এ আবিষ্কারের মাধ্যমে মঙ্গল এখন পৃথিবী, শনি ও বৃহস্পতির মতো—বায়ুমণ্ডলে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ আছে এমন গ্রহের তালিকায় যুক্ত হলো।
তবে গবেষণা নিয়ে কিছু সন্দেহও রয়েছে। কারণ, এগুলো শুধু শোনা গেছে কিন্তু দেখা যায়নি। বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে ড. ড্যানিয়েল প্রিচার্ড লিখেছেন, প্রমাণ শক্তিশালী হলেও সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না যে এটি সত্যিই মঙ্গলের বজ্রপাত কিনা।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে বিতর্ক আরও কিছুদিন চলবে।
এর আগে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে অদ্ভুত দাগযুক্ত পাথর খুঁজে পান, যেগুলোকে ‘লেপার্ড স্পট’ ও ‘পপি সিড’ বলে ডাকেন। এসব পাথরে এমন খনিজ ছিল যা হয়তো প্রাচীন জীবাণুর সঙ্গে সম্পর্কিত রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে। যদিও তা প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াতেও হতে পারে, নাসা এটিকে এখন পর্যন্ত মঙ্গলে জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্ভাব্য চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করেছে।
আজকের মঙ্গল গ্রহ ঠান্ডা ও শুষ্ক মরুভূমি হলেও, বিলিয়ন বছর আগে সেখানে ঘন বায়ুমণ্ডল ও পানি ছিল—যা জীবনের অস্তিত্বের পক্ষে অনুকূল।
জেজেরো ক্রেটারের বৈশিষ্ট্য ইঙ্গিত দেয়, এটি একসময় নদীর উপত্যকা বা ডেল্টা ছিল—এ কারণে পারসিভিয়ারেন্সকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম
What's Your Reaction?