মাইগ্রেন শুধু মাথায় নয়, পেটেও হতে পারে
আমরা সাধারণত মাইগ্রেনকে মাথার তীব্র ব্যথা হিসেবে ভাবি। টানা দুই-তিন দিন ধরে মাথা ঘোরে এবং যন্ত্রণা অনুভূত হয়। কিন্তু জানেন কি, এমন একটি ধরনের মাইগ্রেনও আছে যা মাথায় নয়, পেটে হয়-এটিকে বলা হয় অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন। এটি হলে নাভির চারপাশে ব্যথা, বমি ভাব, গা ঘোরানো এবং অপ্রয়োজনীয় ক্লান্তি দেখা দেয়। অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ পেটের ব্যথা ভেবে অনেকেই এটিকে উপেক্ষা করেন, যা দৈনন্দিন জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অ্যাবডমিনাল মাইগ্রেন কী?অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন হল একটি স্নায়বিক সমস্যা, যা মাথা ব্যথা নয়, পেটে তীব্র যন্ত্রণার কারণ হয়ে থাকে। পেটে ব্যথা হওয়ায় অনেকেই ভেবে ফেলেন যে এটি হজম বা পরিপাকের সমস্যা, তবে এটি মাইগ্রেনেরই একটি রূপ। স্নায়ুতন্ত্রে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পেটের রক্তনালিগুলো সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হওয়ায় নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয়, যা পেটের উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে- পেট ফাঁপা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, বমি ভাব এবং গা ঘোরানো। মাথায় সাধারণত কোনো ব্যথা হয় না। অ্
আমরা সাধারণত মাইগ্রেনকে মাথার তীব্র ব্যথা হিসেবে ভাবি। টানা দুই-তিন দিন ধরে মাথা ঘোরে এবং যন্ত্রণা অনুভূত হয়। কিন্তু জানেন কি, এমন একটি ধরনের মাইগ্রেনও আছে যা মাথায় নয়, পেটে হয়-এটিকে বলা হয় অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন। এটি হলে নাভির চারপাশে ব্যথা, বমি ভাব, গা ঘোরানো এবং অপ্রয়োজনীয় ক্লান্তি দেখা দেয়।
অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণ পেটের ব্যথা ভেবে অনেকেই এটিকে উপেক্ষা করেন, যা দৈনন্দিন জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
অ্যাবডমিনাল মাইগ্রেন কী?
অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন হল একটি স্নায়বিক সমস্যা, যা মাথা ব্যথা নয়, পেটে তীব্র যন্ত্রণার কারণ হয়ে থাকে। পেটে ব্যথা হওয়ায় অনেকেই ভেবে ফেলেন যে এটি হজম বা পরিপাকের সমস্যা, তবে এটি মাইগ্রেনেরই একটি রূপ।
স্নায়ুতন্ত্রে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পেটের রক্তনালিগুলো সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হওয়ায় নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয়, যা পেটের উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে- পেট ফাঁপা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, বমি ভাব এবং গা ঘোরানো। মাথায় সাধারণত কোনো ব্যথা হয় না।
অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে এবং এটি বারবার ফিরে আসে। অনেক সময় মানুষ এটিকে হজমের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করেন, ফলে চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়।
যদি পেটে ব্যথা ৭২ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে থাকে, নাভির চারপাশে তীব্র ব্যথা হয় এবং বমি ভাব দেখা দেয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ধরনের মাইগ্রেন শরীরকে ক্লান্ত ও নিস্তেজ করে তোলে।
ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ও বমিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কখনো কখনো ট্রিপটানসের মতো বিশেষ মাইগ্রেনের ওষুধও কার্যকর হতে পারে।
অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন কেন হয়
অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন সাধারণত বংশগত কারণে বেশি দেখা যায়। পরিবারে কারো যদি এটি থাকে, পরবর্তী প্রজন্মেরও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এই মাইগ্রেন হতে পারে।
যেভাবে সর্তক থাকবেন
অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন থেকে বাঁচতে বাইরের খাবার খাওয়া যতটা সম্ভব কমানো উচিত। ক্যাফেইনও সীমিত পরিমাণে নিন; ঘন ঘন কফি, চকোলেট বা কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি, এবং যোগাসন ও মেডিটেশন মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চকলেট, পনির, প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ক্যাফেইনযুক্ত যেসব খাবার ব্যথা বাড়ায়, তা চিহ্নিত করে বাদ দিন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাইন্ডফুলনেস বা মেডিটেশন করতে পারেন।
সূত্র: আমেরিকান ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন,মায়ো ক্লিনিক, আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন
আরও পড়ুন:
পেঁয়াজ-রসুন খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে
ধূমপায়ীর ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলেও ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে
এসএকেওয়াই/এমএস
What's Your Reaction?