মাগুরায় বরই চাষে শিক্ষকের সফলতা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খর্দ্দফুলবাড়ী গ্রামে নিবিড় যত্নে গড়ে উঠেছে এক শিক্ষকের স্বপ্নের বরই বাগান। উপজেলার বনগ্রাম সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শরাফাতুল আলম নিজ উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় ৭৫ শতক জমিতে ২০০টি বিভিন্ন জাতের বরই গাছ রোপণ করেন। শুরুতেই ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি। প্রতি কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন জাতের উন্নতমানের বরই চাষ শুরু করেন। নিয়মিত ও বৈজ্ঞানিক পরিচর্যায় বাগানে এসেছে আশাব্যঞ্জক ফলন। শুধু ফল নয়, এই বাগান এখন অনেকের স্বপ্নের আশ্রয়, প্রেরণা আর সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছে। শিক্ষক মো. শরাফাতুল আলম বলেন, ‌‘করোনার সময় থেকেই বাড়ির পাশে নিজ জমিতে বরই চাষ শুরু করেছি। প্রতি বছর ব্যয় বাদ দিয়েও ভালো লাভ পাই। বর্তমানে বাগানে ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি জাতের বরই এসেছে। এর মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভারত সুন্দরী জাতের বরই তোলা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য জাতের বরইও বাজারে আসবে।’ আরও পড়ুনপেঁপে চাষে সফল অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, বছরে আয় ১০ লাখ পানিফল চাষে কম খরচে বেশি লাভ  তিনি বলেন, ‘বরই এমন একটি ফল, যা শীত মৌসু

মাগুরায় বরই চাষে শিক্ষকের সফলতা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খর্দ্দফুলবাড়ী গ্রামে নিবিড় যত্নে গড়ে উঠেছে এক শিক্ষকের স্বপ্নের বরই বাগান। উপজেলার বনগ্রাম সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শরাফাতুল আলম নিজ উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় ৭৫ শতক জমিতে ২০০টি বিভিন্ন জাতের বরই গাছ রোপণ করেন। শুরুতেই ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি। প্রতি কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন জাতের উন্নতমানের বরই চাষ শুরু করেন। নিয়মিত ও বৈজ্ঞানিক পরিচর্যায় বাগানে এসেছে আশাব্যঞ্জক ফলন। শুধু ফল নয়, এই বাগান এখন অনেকের স্বপ্নের আশ্রয়, প্রেরণা আর সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

jagonews

শিক্ষক মো. শরাফাতুল আলম বলেন, ‌‘করোনার সময় থেকেই বাড়ির পাশে নিজ জমিতে বরই চাষ শুরু করেছি। প্রতি বছর ব্যয় বাদ দিয়েও ভালো লাভ পাই। বর্তমানে বাগানে ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি জাতের বরই এসেছে। এর মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভারত সুন্দরী জাতের বরই তোলা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য জাতের বরইও বাজারে আসবে।’

আরও পড়ুন
পেঁপে চাষে সফল অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, বছরে আয় ১০ লাখ 
পানিফল চাষে কম খরচে বেশি লাভ 

তিনি বলেন, ‘বরই এমন একটি ফল, যা শীত মৌসুমে হারভেস্টিং হয়। বরই বাগানে এলেই টেনশনমুক্ত হয়ে অনেক আনন্দে সময় কাটানো যায়। আমার বাগানের ফলে অসংখ্য পাখিরও খাদ্যের জোগান হয়।’

jagonews

শরাফাতুল আলম আরও বলেন, ‘মাটির সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক তৈরি করলে ফসলও ভালোবাসা দিয়ে জবাব দেয়। একটু সাহস, ধৈর্য আর সঠিক পরিচর্যায় গ্রামের মাটি বদলে দিতে পারে মানুষের ভাগ্য। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে বাগান এবং উন্নতমানের চারা উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে।’

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এসইউ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow