মাদকাসক্ত যুবককে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে দিল এলাকাবাসী!

মায়ের কান্না, প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আর সমাজের অসহায়তা, সব মিলিয়ে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা। মাদকাসক্ত ছেলের লাগাতার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর বিচারের মুখে পড়তে হলো এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত খলিল নেশার টাকার জন্য নিয়মিতভাবে তার মা খোদেজা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে চরম রূপ নেয় সেই নির্যাতন। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের জন্মদাত্রী মাকে মারধর করেন খলিল। অসহায় মা তখন আর সহ্য করতে না পেরে চোখের পানি আর বুকভাঙা কণ্ঠে প্রতিবেশীদের কাছে বিচারের দাবি জানান। মায়ের সেই আর্তনাদ যেন কাঁপিয়ে তোলে পুরো এলাকা। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ আর ক্ষতবিক্ষত বিবেক একত্রিত হয়ে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নেয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। পরে তারা খলিলকে আটক করে মারধর করে এবং শাস্তিস্বরূপ কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। ঘটনাটি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্

মাদকাসক্ত যুবককে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে দিল এলাকাবাসী!

মায়ের কান্না, প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আর সমাজের অসহায়তা, সব মিলিয়ে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা। মাদকাসক্ত ছেলের লাগাতার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর বিচারের মুখে পড়তে হলো এক যুবককে।

ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত খলিল নেশার টাকার জন্য নিয়মিতভাবে তার মা খোদেজা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে চরম রূপ নেয় সেই নির্যাতন। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের জন্মদাত্রী মাকে মারধর করেন খলিল। অসহায় মা তখন আর সহ্য করতে না পেরে চোখের পানি আর বুকভাঙা কণ্ঠে প্রতিবেশীদের কাছে বিচারের দাবি জানান।

মায়ের সেই আর্তনাদ যেন কাঁপিয়ে তোলে পুরো এলাকা। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ আর ক্ষতবিক্ষত বিবেক একত্রিত হয়ে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নেয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। পরে তারা খলিলকে আটক করে মারধর করে এবং শাস্তিস্বরূপ কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে।

ঘটনাটি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের। কেউ কেউ বলছেন, এটি আইনের পরিপন্থী হলেও মাদকাসক্ত ছেলের হাতে দিনের পর দিন নির্যাতিত এক মায়ের অসহায়তার বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। আবার অনেকেই মনে করছেন, মাদকের ভয়াবহতা সমাজকে কোথায় ঠেলে দিচ্ছে এই ঘটনাই তার নির্মম প্রমাণ।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা ও উদ্বেগ। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। নইলে এমন হৃদয় কাঁদানো ঘটনা আরও বাড়বে যেখানে অপরাধী যেমন ধ্বংস হয়, তেমনি ভেঙে পড়ে মায়ের বুক আর সমাজের মানবিকতা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow