মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্কুলছাত্রকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী ফাজিল মাদরাসার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী হলেন মো. ইব্রাহিম (১৮)। তিনি কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে ও কুমারখালী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আহত ইব্রাহিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান রানিম বলেন, আমার ভাই ইব্রাহিম সকালে এম এন স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সেসময় মাদক কারবারি আরিফের লোকজন পথ থেকে ধাওয়া করে মাদরাসার ভেতরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে। এতে তার পিঠে, ঘাড়ে ও মাথায় একাধিক ক্ষত হওয়ায় গুরুতর আহত হয়েছে সে। তার ভাষ্য, গত রোববার কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি পশুহাট এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আরিফের কাছে গাঁজা কিনতে গিয়েছিল ইব্রাহিম। তখন ১০ টাকা কম দিলে আরিফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় ইব্রাহিমের। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে। সে কারণে ইব্রাহিমকে কুপিয়েছে আরিফের লোকজন। বিচারের আশায় থানায় মামলা করা হবে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে ইব্রাহিমকে ৮ থেকে ১০ জ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্কুলছাত্রকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী ফাজিল মাদরাসার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী হলেন মো. ইব্রাহিম (১৮)। তিনি কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে ও কুমারখালী এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আহত ইব্রাহিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান রানিম বলেন, আমার ভাই ইব্রাহিম সকালে এম এন স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সেসময় মাদক কারবারি আরিফের লোকজন পথ থেকে ধাওয়া করে মাদরাসার ভেতরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে। এতে তার পিঠে, ঘাড়ে ও মাথায় একাধিক ক্ষত হওয়ায় গুরুতর আহত হয়েছে সে।
তার ভাষ্য, গত রোববার কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি পশুহাট এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আরিফের কাছে গাঁজা কিনতে গিয়েছিল ইব্রাহিম। তখন ১০ টাকা কম দিলে আরিফের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় ইব্রাহিমের। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে। সে কারণে ইব্রাহিমকে কুপিয়েছে আরিফের লোকজন। বিচারের আশায় থানায় মামলা করা হবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে ইব্রাহিমকে ৮ থেকে ১০ জন ধাওয়া করে। তাদের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছিল। ধাওয়া খেয়ে ইব্রাহিম দৌড়ে কুমারখালী ফাজিল মাদরাসার ভিতরে ঢুকে পরে। পরে দুর্বৃত্তরাও মাদরাসার ভিতরে ঢুকে ইব্রাহিমকে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন আরিফ। তার মোবাইলফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়।
কুমারখালী ফাজিল মাদরাসার সুপার রেজাউল হককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ইব্রাহিমের শরীরে একাধিক আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এক ছাত্রকে কোপানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আল-মামুন সাগর/এনএইচআর/জেআইএম
What's Your Reaction?