মাদারীপুরে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সংকট
মাদারীপুরের ইউনিয়নগুলোতে কৃষি চাহিদা অনুযায়ী উপ-সহকারী কর্মকর্তা না নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। এতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জেলার কৃষকদের। খোজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার ৫৯টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা রয়েছে। সে অনুয়ায়ী এখানে ১৮১ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকার কথা। কিন্তু আছেন মাত্র ১০৮ জন। দীর্ঘদিন ধরে জেলায় ৭৩ জন কর্মকর্তা নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকার নিয়ম আছে। জনবল সংকটের কারণে কৃষকরা ঠিকমতো পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক। মাদারীপুরের ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের কৃষক মো. জয়নাল বলেন, আমরা যদি সব সময় কৃষি কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় কাজ করতে পারতাম, তাহলে অনেক উপকার হতো। আরও বেশি ফসল ফলাতে পারতাম। কিন্তু সবসময় তাদের পাই না। কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের কৃষক আয়ুইব আলী বলেন, দুই-তিন মাস পরপর আমাদের এখানে কৃষি অফিস থেকে কর্মকর্তা আসেন। তখন তিনি নানা পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে আমাদের তেমন একটা কাজে লাগে না। কারণ বেশিরভাগ সময়ই আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ করে থাকি। রাজৈর উপজেলার আমগ্
মাদারীপুরের ইউনিয়নগুলোতে কৃষি চাহিদা অনুযায়ী উপ-সহকারী কর্মকর্তা না নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। এতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জেলার কৃষকদের।
খোজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার ৫৯টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা রয়েছে। সে অনুয়ায়ী এখানে ১৮১ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকার কথা। কিন্তু আছেন মাত্র ১০৮ জন। দীর্ঘদিন ধরে জেলায় ৭৩ জন কর্মকর্তা নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকার নিয়ম আছে। জনবল সংকটের কারণে কৃষকরা ঠিকমতো পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক।
মাদারীপুরের ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের কৃষক মো. জয়নাল বলেন, আমরা যদি সব সময় কৃষি কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় কাজ করতে পারতাম, তাহলে অনেক উপকার হতো। আরও বেশি ফসল ফলাতে পারতাম। কিন্তু সবসময় তাদের পাই না।
কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের কৃষক আয়ুইব আলী বলেন, দুই-তিন মাস পরপর আমাদের এখানে কৃষি অফিস থেকে কর্মকর্তা আসেন। তখন তিনি নানা পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে আমাদের তেমন একটা কাজে লাগে না। কারণ বেশিরভাগ সময়ই আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ করে থাকি।
রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের কৃষক কালাম মৃধা বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা ও উদ্যোগে বাজার থেকে সার, কীটনাশক কিনে জমিতে দিতে হয়। কিন্তু যদি কৃষি কর্মকর্তা সবসময় পরামর্শ দিতেন। তাহলে আমরা সবকিছু ঠিকমতো করতে পারতাম। আর এতে করে ফসলও বেশি হতো। আমাদেরও অনেক উপকার হতো।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রহিমা খাতুন বলেন, এরই মধ্যে জনবল চাহিদার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত মাদারীপুর জেলায় ইউনিয়নভিত্তিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সংকট কমে যাবে। আর এতে কৃষকরা উপকৃত হবে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমএন/এমএস
What's Your Reaction?