মাদুরোর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ট্রাম্প, সেনা মোতায়েনেরও সম্ভাবনা
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বাড়তে থাকা উত্তেজনা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, প্রয়োজনে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাও খোলা রাখছেন। সম্প্রতি ক্যারিবীয় ও লাতিন আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মাদুরো অভিযোগ করে আসছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই এই সামরিক তৎপরতা এবং আঞ্চলিক উপস্থিতি জোরদার করা হচ্ছে। সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “না, আমি কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না।” আর মাদুরোর সঙ্গে আলাপ বিষয়ে তার বক্তব্য, “হ্যাঁ, সম্ভবত কথা বলব। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলি।” সম্ভাব্য মার্কিন হামলা ঠেকাতে মাদুরো কোনো প্রস্তাব দিলে তা শুনতেও আগ্রহী তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এসব মন্তব্য ইঙ্গিত করে যে আকর্ষণীয় কোনো সমাধান প্রস্তাব এলে তিনি উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী হতে পারেন, যদিও একই সঙ্গে তার প্রশাসন সংঘাত
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বাড়তে থাকা উত্তেজনা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, প্রয়োজনে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাও খোলা রাখছেন।
সম্প্রতি ক্যারিবীয় ও লাতিন আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মাদুরো অভিযোগ করে আসছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই এই সামরিক তৎপরতা এবং আঞ্চলিক উপস্থিতি জোরদার করা হচ্ছে।
সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “না, আমি কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না।” আর মাদুরোর সঙ্গে আলাপ বিষয়ে তার বক্তব্য, “হ্যাঁ, সম্ভবত কথা বলব। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলি।” সম্ভাব্য মার্কিন হামলা ঠেকাতে মাদুরো কোনো প্রস্তাব দিলে তা শুনতেও আগ্রহী তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এসব মন্তব্য ইঙ্গিত করে যে আকর্ষণীয় কোনো সমাধান প্রস্তাব এলে তিনি উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী হতে পারেন, যদিও একই সঙ্গে তার প্রশাসন সংঘাত বাড়ানোর পথও খোলা রেখেছে।
অন্যদিকে, কলম্বিয়ার “কোকেন কারখানা” ধ্বংসের ইচ্ছা ব্যক্ত করলেও ট্রাম্প দেশটিতে সরাসরি সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেননি।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে টানাপোড়েন তীব্র হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনীর হামলা এখন পর্যন্ত ২০ বার হয়েছে, যাতে প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এসব নৌযান সত্যিই মাদক বহন করছিল কি না বা সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রমুখী ছিল কি না— এসব বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কোনো প্রমাণ দেয়নি। এমনকি এসব সামরিক কর্মকাণ্ডের আইনি ভিত্তিও ব্যাখ্যা করেনি, যা অনেক বিশেষজ্ঞ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করছেন।
What's Your Reaction?