মার্কিন চাপে নতি স্বীকার ভারতের

মার্কিন চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করলো ভারত। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা কমাবে না বলে গো ধরেছিল নয়াদিল্লি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভারতের ওপর কঠোর শুল্কারোপ করে ওয়াশিংটন। শুরুতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিষয়টি পাত্তা না দিলেও যত দিন গড়ায় ততই তাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। এ অবস্থায় দেশটির বিলিয়নিয়ার মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ অবশেষে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।  রাশিয়ার প্রধান তেল উৎপাদনকারী সংস্থা রোসনেফট এবং লুকোইলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির এমন পদক্ষেপের বিষয়টি সামনে আসে।  রিলায়েন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া পণ্য আমদানিসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সম্মতি নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তন নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের মোট তেল আমদানি ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। যা ২০২৪-২৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৫ দশমিক ৮ শতা

মার্কিন চাপে নতি স্বীকার ভারতের

মার্কিন চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করলো ভারত। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা কমাবে না বলে গো ধরেছিল নয়াদিল্লি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভারতের ওপর কঠোর শুল্কারোপ করে ওয়াশিংটন। শুরুতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিষয়টি পাত্তা না দিলেও যত দিন গড়ায় ততই তাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে।

এ অবস্থায় দেশটির বিলিয়নিয়ার মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ অবশেষে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। 

রাশিয়ার প্রধান তেল উৎপাদনকারী সংস্থা রোসনেফট এবং লুকোইলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির এমন পদক্ষেপের বিষয়টি সামনে আসে। 

রিলায়েন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া পণ্য আমদানিসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সম্মতি নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তন নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের মোট তেল আমদানি ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। যা ২০২৪-২৫ সালে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশে। ভারতের মোট রুশ তেল আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশই আনে রিলায়েন্স। রুশ তেল ক্রয় নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই তিক্ত। 

ট্রাম্প প্রশাসন গত আগস্টে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এই অতিরিক্ত শুল্কের মধ্যে ২৫ শতাংশ রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল এই কেনাকাটা মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়ন করছে। যদিও ভারত তখন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow