মুশফিকের অবিস্মরণীয় শতকের দিনেও শেরে বাংলা নীরব!

১ রানের জন্য উন্মুখ গোটা জাতি। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল মাত্র ১ রান। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমও নিশ্চয়ই এমন এক মাইলফলক ছুঁতে মুখিয়ে ছিলেন। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে দিন শেষ করার নজির আছে ভুরি ভুরি। শতরান থেকে ১, ২ ও ৩ কিংবা ৪-৫ রান দূরে দাঁড়িয়ে পরদিন আবার ব্যাটিংয়ে নামার ঘটনাও প্রচুর। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে আগের দিন ৯০-এর ঘরে নটআউট থেকে পরদিন সকাল সকাল কাঙ্ক্ষিত শতক পূরণের উদাহরণ অনেক। কিন্তু একটি সেঞ্চুরি দেখতে গোটা জাতির অমন উন্মুখ অপেক্ষা, কে দেখেছে কবে? ইতিহাস ঘেঁটে এমন ঘটনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনিতে একজন ব্যাটার যখন শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পরদিন উইকেটে যান, তখন সমর্থক ও ভক্তদের তা দেখার উৎসাহ-আগ্রহ থাকেই। কিন্তু আজ ২০ নভেম্বর শেরে বাংলায় মুশফিকের ১ রানের অপেক্ষাটা ছিল অনেক বেশি। কারণ এক ও অভিন্ন। ওই ১ রান হলেই মুশফিক হবেন ইতিহাসের অংশ। তার নামের পাশে শুধু আর একটি সেঞ্চুরিই যোগ হবে না। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে শততম টেস্টে ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির দুর্লভ কৃতিত্বও হবে অর্জিত। এর আগে মাত্র ১০ জন ব্যাটারের আছে এ কৃতিত্ব। যার দুইজন মা

মুশফিকের অবিস্মরণীয় শতকের দিনেও শেরে বাংলা নীরব!

১ রানের জন্য উন্মুখ গোটা জাতি। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল মাত্র ১ রান। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমও নিশ্চয়ই এমন এক মাইলফলক ছুঁতে মুখিয়ে ছিলেন।

সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে দিন শেষ করার নজির আছে ভুরি ভুরি। শতরান থেকে ১, ২ ও ৩ কিংবা ৪-৫ রান দূরে দাঁড়িয়ে পরদিন আবার ব্যাটিংয়ে নামার ঘটনাও প্রচুর। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে আগের দিন ৯০-এর ঘরে নটআউট থেকে পরদিন সকাল সকাল কাঙ্ক্ষিত শতক পূরণের উদাহরণ অনেক। কিন্তু একটি সেঞ্চুরি দেখতে গোটা জাতির অমন উন্মুখ অপেক্ষা, কে দেখেছে কবে?

ইতিহাস ঘেঁটে এমন ঘটনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনিতে একজন ব্যাটার যখন শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পরদিন উইকেটে যান, তখন সমর্থক ও ভক্তদের তা দেখার উৎসাহ-আগ্রহ থাকেই। কিন্তু আজ ২০ নভেম্বর শেরে বাংলায় মুশফিকের ১ রানের অপেক্ষাটা ছিল অনেক বেশি। কারণ এক ও অভিন্ন। ওই ১ রান হলেই মুশফিক হবেন ইতিহাসের অংশ।

তার নামের পাশে শুধু আর একটি সেঞ্চুরিই যোগ হবে না। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে শততম টেস্টে ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির দুর্লভ কৃতিত্বও হবে অর্জিত।

এর আগে মাত্র ১০ জন ব্যাটারের আছে এ কৃতিত্ব। যার দুইজন মাত্র এশিয়ান-জাভেদ মিয়াদাদ ও ইনজামাম উল হক। তাদের পাশে মুশফিকের নাম যুক্ত হবে। তা দেখার উৎসাহ-আগ্রহ বেশি থাকারই কথা।

বৃহস্পতিবার সকালে মুশফিক যখন অনসাইডে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে সেই কাঙ্ক্ষিত শতক পূর্ণ করলেন, তখন মাঠের চেয়ে টিভি সেটের সামনে উন্মুখ হয়ে বসে থাকা কোটি সমর্থকই বেশি আনন্দে মেতে উঠলেন।

মাঠে তেমন হৈ চৈ হলো না। যে উল্লাস, উচ্ছ্বাস ও উৎসব হওয়ার কথা, তার ছিটেফোঁটাও হলো না। কী করে হবে? মুশফিকুর রহিমের বহুল কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি দেখতে শেরে বাংলায় যেমন দর্শকসমাবেশ ঘটার কথা, তার কিছুই হয়নি। মুশফিক যখন দিনের নবম বলে ১০০তে পা রাখলেন তখন হোম অব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ শ পাঁচেক দর্শক উপস্থিত ছিলেন। তার একটা অংশ আবার স্কুল ছাত্র ও তাদের শিক্ষক। কাজেই হৈ চৈ হলো না কিছুই। অনেকটা নীরবেই ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে ফেললেন মুশফিক।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যে কটি ব্যক্তিগত সাফল্যের মাইলফলক স্থাপনের ঘটনা ঘটেছে, তার অন্যতম সেরা ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার। তারপরও মাঠে ৫০০ দর্শকের উপস্থিতি বলে দিলো, টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশ সমর্থকদের বড় অংশের তেমন মাথাব্যথা নেই। উৎসাহ কম।

হয়তো ভক্ত ও সমর্থকদের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা দেখে হতাশ মুশফিকও তেমন উৎসব করলেন না। তার শতরানের উৎসবটায় ছিল না কোনো বাড়তি উচ্ছ্বাস। শুধু একবার হাত ওপরে তুললেন। দর্শক, ড্রেসিংরুম, পরিবারের দিকে ব্যাট নেড়ালেন। আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় সেজদায় পড়ে গেলেন। আর দশটা সেঞ্চুরির মতোই।

এআরবি/এমএমআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow