মোদি সরকারকে পাত্তাই দিচ্ছে না কেরালা, চলবে নিষিদ্ধ সিনেমা
ভারতের কেরালা সরকার কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্ধারিত সব সিনেমা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় উৎসবের জন্য নির্বাচিত ১৯টি সিনেমাকে সেন্সর ছাড়পত্র না দেয়নি। এ নিয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। তার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরালার রাজ্য সরকার। তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত ত্রিশতম কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু থেকেই রাজনৈতিক সচেতনতার আবহে আয়োজিত হচ্ছে। উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র নির্বাচন ঘিরে ছিল স্পষ্ট অবস্থান। কিন্তু কেন্দ্রের ছাড়পত্র না দেওয়ায় কয়েক দিন ধরে প্রদর্শনী ব্যাহত হয় এবং উৎসব প্রাঙ্গণে দর্শকদের বিক্ষোভও দেখা যায়। কেরালা সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী সাজি চেরিয়ান সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘কেরালার সাংস্কৃতিক পরিসরে এমন হস্তক্ষেপ গণতান্ত্রিক নয় এবং তা মেনে নেওয়া হবে না।’আরও পড়ুনশুটিংয়ে আহত জিৎবক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে ‘ধুরন্ধর’, রেকর্ড ভেঙে ছুটছে রণবীরের ছবি তার ভাষায়, তিন দশকের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের মর্যাদা ও প্রগতিশীল চরিত্র ক্ষুণ্ন করার কোনো চেষ্টাই
ভারতের কেরালা সরকার কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্ধারিত সব সিনেমা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় উৎসবের জন্য নির্বাচিত ১৯টি সিনেমাকে সেন্সর ছাড়পত্র না দেয়নি। এ নিয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। তার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরালার রাজ্য সরকার।
তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত ত্রিশতম কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু থেকেই রাজনৈতিক সচেতনতার আবহে আয়োজিত হচ্ছে। উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র নির্বাচন ঘিরে ছিল স্পষ্ট অবস্থান। কিন্তু কেন্দ্রের ছাড়পত্র না দেওয়ায় কয়েক দিন ধরে প্রদর্শনী ব্যাহত হয় এবং উৎসব প্রাঙ্গণে দর্শকদের বিক্ষোভও দেখা যায়।
কেরালা সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী সাজি চেরিয়ান সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘কেরালার সাংস্কৃতিক পরিসরে এমন হস্তক্ষেপ গণতান্ত্রিক নয় এবং তা মেনে নেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন
শুটিংয়ে আহত জিৎ
বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে ‘ধুরন্ধর’, রেকর্ড ভেঙে ছুটছে রণবীরের ছবি
তার ভাষায়, তিন দশকের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের মর্যাদা ও প্রগতিশীল চরিত্র ক্ষুণ্ন করার কোনো চেষ্টাই বরদাশত করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘ভিন্নমত ও সৃজনশীল অভিব্যক্তিকে দমন করার এই প্রবণতার কাছে প্রগতিশীল কেরালা মাথা নত করবে না। তাই যেসব সিনেমা অনুমতি পায়নি, সেগুলোও উৎসবে প্রদর্শিত হবে।’
এই ঘটনায় বিরোধী রাজনীতিক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর একে উৎসবের ইতিহাসে নজিরবিহীন সংকট বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যেসব সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার অনেকগুলো আগেও ভারতে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। একই উৎসবে আগে সম্মান পাওয়া সিনেমা আবার নিষিদ্ধ হওয়া সিদ্ধান্তের অসঙ্গতি তুলে ধরে।’
উৎসব কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিদেশি সিনেমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের বিধান রয়েছে। তবু এবার সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। ফলে শিল্পী ও দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
সব মিলিয়ে কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে ঘিরে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক দেশজুড়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ ও সাংস্কৃতিক স্বাধিকারের প্রশ্নকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।
এলআইএ
What's Your Reaction?