মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক আলমগীরের পদত্যাগ

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড-এর পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্লাবটির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে তিনি ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে, চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ক্লাবের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়ার পরও আশা করেছিলেন, যে নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে একটি অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) ও নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হবে। সে প্রত্যাশায় তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ে যাওয়ায় তিনি গভীর হতাশা প্রকাশ করেন। চিঠিতে ক্লাবে তার নিজের অবদানের কথা তুলে ধরেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলমগীর। চিঠিতে তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে মোট ২১ কোটি ২২ লাখ টাকা ক্লাবকে সহায়তা করেছেন— যা অন্য যে কোনো পরিচালকের চেয়ে বহুগুণ বেশি। তার ভাষ্য, এই আর্থিক অবদান ক্লাবের প্রতি তার অদ্বিতীয় অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। চিঠিতে তিনি বর্তমান কমিটির আইনি অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার দাবি, ৫ জুলাই ২০২৫-এর পরই বোর্ড ভ

মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক আলমগীরের পদত্যাগ

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড-এর পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্লাবটির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে তিনি ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে, চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

ক্লাবের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়ার পরও আশা করেছিলেন, যে নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে একটি অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) ও নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হবে। সে প্রত্যাশায় তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ে যাওয়ায় তিনি গভীর হতাশা প্রকাশ করেন।

চিঠিতে ক্লাবে তার নিজের অবদানের কথা তুলে ধরেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলমগীর। চিঠিতে তিনি জানান, ব্যক্তিগতভাবে মোট ২১ কোটি ২২ লাখ টাকা ক্লাবকে সহায়তা করেছেন— যা অন্য যে কোনো পরিচালকের চেয়ে বহুগুণ বেশি। তার ভাষ্য, এই আর্থিক অবদান ক্লাবের প্রতি তার অদ্বিতীয় অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।

চিঠিতে তিনি বর্তমান কমিটির আইনি অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার দাবি, ৫ জুলাই ২০২৫-এর পরই বোর্ড ভেঙে দিয়ে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের কথা ছিল; কিন্তু সক্ষম, সচ্ছ্বল ও যোগ্য অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।

সম্প্রতি নির্বাচন প্রক্রিয়া আদালতসংক্রান্ত জটিলতায় আটকে যাওয়ায় বিষয়টি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এটিকে ক্লাব পরিচালনার ব্যর্থতা হিসেবে স্বীকার করেন। এ কারণে তিনি নিজেকেও পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘নেতিবাচক মিডিয়া কাভারেজ, খেলোয়াড় ও সাবেক খেলোয়াড়দের অভিযোগ, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের হতাশা— এসবই প্রমাণ করে আমরা ক্লাবের মূল লক্ষ্য ও ফুটবল ঐতিহ্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে পারিনি।’

তিনি জানান, বর্তমান অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি, আর্থিক সঙ্কট এবং ব্যবস্থাপনার সমন্বয়হীনতার জন্য তিনি নিজেকে গভীরভাবে অপরাধী ও অদক্ষ মনে করছেন। তাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোই তার নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করেন।

তিনি বোর্ড অব ডিরেক্টর্সকে অনুরোধ করেন, ‘আজ থেকেই আমাকে অনুগ্রহ করে পরিচালক নয় এবং অবশ্যই ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও বিবেচনা করবেন না।’

যদিও তিনি পরিচালকের দায়িত্ব ছাড়ছেন, তবে মোহামেডানের সদস্য হিসেবে তিনি ক্লাবের সঙ্গেই থেকে যাবেন বলে উল্লেখ করেছেন। শেষ ৩০–৩৫ বছর যেভাবে ক্লাবের পাশে থেকেছেন, ভবিষ্যতেও সেই সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর।

আইএইচএস/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow