মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ৩৩ ঘণ্টা পরও গ্রেফতার হয়নি কেউ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসা থেকে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ৩৩ ঘণ্টা পরও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, বীভৎস এ ঘটনায় নিহত লায়লা আফরোজের শরীরে ৩০টা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাফিসার শরীরে ৬টা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি গৃহকর্মী আয়েশার (২০) বেশকিছু আলামত সংগ্রহের কথাও বলছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার করার কথাও জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যে ধারণা করছি এবং যিনি বাদী অর্থাৎ নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী মামলায় উল্লেখ করেছেন যে, একজন গৃহকর্মী তাদের হত্যা করে এর পরে বাসা থেকে মেয়ের স্কুলের ড্রেস করে বের হয়ে চলে গেছে। আমরা সেই সূত্র ধরেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি রাত থেকে

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ৩৩ ঘণ্টা পরও গ্রেফতার হয়নি কেউ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসা থেকে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ৩৩ ঘণ্টা পরও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, বীভৎস এ ঘটনায় নিহত লায়লা আফরোজের শরীরে ৩০টা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাফিসার শরীরে ৬টা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি গৃহকর্মী আয়েশার (২০) বেশকিছু আলামত সংগ্রহের কথাও বলছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার করার কথাও জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যে ধারণা করছি এবং যিনি বাদী অর্থাৎ নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী মামলায় উল্লেখ করেছেন যে, একজন গৃহকর্মী তাদের হত্যা করে এর পরে বাসা থেকে মেয়ের স্কুলের ড্রেস করে বের হয়ে চলে গেছে। আমরা সেই সূত্র ধরেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি রাত থেকে শুরু করে প্রায় ভোর পর্যন্ত। দুঃখজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছি। আজ সকালেও আমাদের দুইটা টিম বের হয়েছে অভিযানে। পাশাপাশি আমরা ডিবি, পিবিআই, সিআইডি এবং র্যাবের সহযোগিতা নিচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতাও চেয়েছি। আমরা সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত আসামির অনেক কিছুই যেটা উদঘাটন করতে পেরেছি। সেটা তদন্তের স্বার্থে বলছি না। তবে আশা করি ইনশাআল্লাহ আমাদের অগ্রগতি আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

তবে একটা সমস্যা যেটা হলো যে, মোহাম্মদপুরে অসংখ্য গৃহকর্মী আছে যাদের আসলে নাম-ঠিকানা পরিচয় নেই। কেউ রাখেও না।এ কারণে আমাদের জন্য আসামি ধরা একটু কঠিন হয়। আবার বিশেষ করে জেনেভা ক্যাম্প থেকে প্রচুর পরিমাণে গৃহকর্মী যারা কাজ করে বা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জেনেভা ক্যাম্পে এসে অল্প ভাড়ায় ভাড়া থাকে। তারপর গৃহকর্মীর কাজ করে এদের অনেকেরই ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেই, বার্থ সার্টিফিকেট নেই। অনেকে মোবাইল ফোনও ইউজ করে না। ফলে কোনো অপরাধ ঘটলে আমাদের জন্য অপরাধীকে ধরা একটু কঠিন হয়ে যায়।

আরও পড়ুন
মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
বাসার চাবি হারানোর পরদিন ফ্ল্যাটে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যা

সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর অপরাধপ্রবণ এলাকা। সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি যে এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে সিসিটিভি ও পর্যাপ্ত লাইট স্থাপন করাটা জরুরি। আমরা একটা অভিযান তদন্তে সিসি টিভির ফুটেজের অভাবে খুব বেশি এগোতে পারিনি। ইনি (অপরাধী গৃহকর্মী) কোথা থেকে আসলেনম কোথায় গেলেন এ বিষয়ে তদন্তে এগোতে পারিনি। আরেকটা বিষয় হলো, মোহাম্মদপুরে তো বেশ কিছু এলাকা আছে খুবই সমৃদ্ধ। কিছু এলাকা আছে বস্তি। সমৃদ্ধ এলাকায়ও সন্ধ্যার পরে লাইট নেই অন্ধকার থাকে ফলে অপরাধীদের জন্য অপরাধ করাটা সহজ হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে অপরিচিত গৃহকর্মীদের সবসময় ভোটার আইডি কার্ড বা আমরা যে ভাড়াটিয়ার একটা ফর্মও দিয়ে রাখি এই ফর্মগুলো দিতে অনেক অনীহা প্রকাশ করে। এই ফর্মগুলো পূরণ করে আমাদের দেবেন।

পোস্টমর্টেম রিপোর্টে কী এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বীভৎস একটা ঘটনা। যিনি মা তার শরীরে ৩০টা আঘাতের চিহ্ন এবং তার মেয়ের শরীরে ৬টা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সেটা পেয়েছি এবং আসামির ফেলে যাওয়া যে বিভিন্ন উপকরণ সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেটা কিন্তু পিবিআই এবং সিআইডি এসে তারা স্যাম্পল কালেকশন করে নিয়ে গেছে। ফলে আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের মোটামুটি সব কাজ শেষ এখন শুধু আসামি ধরাটা বাকি।

কেআর/এসএনআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow