মৌলভীবাজারে অস্তিত্ব নেই ১৯২ বিলের
এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি হাকালুকি হাওর। এছাড়া বৃহৎ দুটি হাওর হাইল ও কাউয়াদিঘী নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা। এসব হাওরে দেশীয় প্রজাতির মাছ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রাণী ও উদ্ভিদ ছিল বৈশিষ্ট্য। তবে খননের অভাবে এসব হাওরের প্রায় ৫০ শতাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। কিছু বিল কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে হাওরে আগের মতো মাছ, পাখি, প্রাণী ও বিভিন্ন উদ্ভিদ কমে গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, হাকালুকি, হাইল ও কাউয়াদিঘী হাওরে কাগজে কলমে প্রায় ৪৩৭টি বিল রয়েছে। এর মধ্যে হাকালুকি হাওরে প্রায় ২৩৮টি, হাইল হাওরে প্রায় ১৩১টি ও কাউয়াদিঘী হাওরে প্রায় ৬৮টি বিল। তবে এসব বিলের মধ্যে বাস্তবে ২৪৫টি বিল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই বিলগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও বাকি ১৯২ বিল খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে হাকালুকি হাওরে ২৩৮টি বিলের মধ্যে প্রায় ১০০টি বিল খননের অভাবে ভরাট হয়ে গেছে। একটা সময় সব বিল মিলে ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর আয়তন ছিল এই হাওরের। হাওরটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া, জুড়ী, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া হাইল হাওর ও কাউয়াদিঘী হাওরে প্রায় ১০০টি বিল
এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি হাকালুকি হাওর। এছাড়া বৃহৎ দুটি হাওর হাইল ও কাউয়াদিঘী নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা। এসব হাওরে দেশীয় প্রজাতির মাছ ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রাণী ও উদ্ভিদ ছিল বৈশিষ্ট্য। তবে খননের অভাবে এসব হাওরের প্রায় ৫০ শতাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। কিছু বিল কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে হাওরে আগের মতো মাছ, পাখি, প্রাণী ও বিভিন্ন উদ্ভিদ কমে গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাকালুকি, হাইল ও কাউয়াদিঘী হাওরে কাগজে কলমে প্রায় ৪৩৭টি বিল রয়েছে। এর মধ্যে হাকালুকি হাওরে প্রায় ২৩৮টি, হাইল হাওরে প্রায় ১৩১টি ও কাউয়াদিঘী হাওরে প্রায় ৬৮টি বিল। তবে এসব বিলের মধ্যে বাস্তবে ২৪৫টি বিল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই বিলগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও বাকি ১৯২ বিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
বিশেষ করে হাকালুকি হাওরে ২৩৮টি বিলের মধ্যে প্রায় ১০০টি বিল খননের অভাবে ভরাট হয়ে গেছে। একটা সময় সব বিল মিলে ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর আয়তন ছিল এই হাওরের। হাওরটি মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া, জুড়ী, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া হাইল হাওর ও কাউয়াদিঘী হাওরে প্রায় ১০০টি বিলের কোনো হদিস নেই।
হাওরের যেসব বিলের আয়তন ২০ একরের বেশি, এসব বিল ৩ বছরের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এছাড়া ২০ একরের কম বিলগুলো উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ১ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়।
হাওর পাড়ের স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এখন থেকে এক দশক আগেও হাওরের বিলগুলোর অস্তিত্ব ছিল। এখন প্রায় অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। যেসব বিল এখনোও আছে সেগুলো খনন করা না হলে ভরাট হয়ে যাবে। হাওরের সঙ্গে সংযুক্ত ছড়া ও নদী হয়ে পলি আসে। এসব পলি জমে অনেক বিল ভরাট হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ে হাওর খননের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
সরেজমিনে হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলা, কাউয়াদিঘী হাওরে রাজনগর উপজেলা ও হাইল হাওরের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অংশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরের এই সময়টায় হাওর টইটম্বুর থাকার কথা। তবে বাস্তবে হাওরে পানি একেবারে কম। অনেক জায়গায় পানি নেই। এছাড়া মাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে আগের তুলনায়। অনেক মৎস্যজীবী তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।
জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওর পাড়ের বাসিন্দা সজ্জাদ মিয়া বলেন, যেভাবে হাওরের বিলগুলো ভরাট হচ্ছে, একটা সময় হাওর খুঁজে পাওয়া যাবে না। হাওর থেকে মাছ শিকার করে লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। বিল ভরাট হলে এসব মানুষ কী করবে?
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি সালেহ সোহেল বলেন, দেশের বৃহৎ হাওরগুলোর মধ্যে মৌলভীবাজারে তিনটি হাওর রয়েছে। অথচ এগুলো এখন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। হাওরের বিলগুলো জরুরিভাবে খনন করা প্রয়োজন। হাওরের জলজ উদ্ভিদগুলো রক্ষা করতে হবে। সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, হাকালুকি, হাইল ও কাউয়াদিঘী হাওরে হাওরে ৪০০টির উপরে বিল আছে কাগজে কলমে। তবে বাস্তবে তা অনেক কম। প্রায় ৪০ শতাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। এসব বিল খনন করা প্রয়োজন। একটা সময় হাওরে দেশীয় ২৬০ প্রজাতির মাছ ছিল, বর্তমানে তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, হাওরের বিলগুলো খনন করার জন্য এরইমধ্যে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। আশা করছি অনুমোদন হলে খনন কাজ শুরু হবে। ভরাট হওয়া বিলগুলো খনন করা খুবই প্রয়োজন।
এফএ/এএসএম
What's Your Reaction?