মৌলভীবাজার-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিঠুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা
মৌলভীবাজার-১ (জুড়ী–বড়লেখা) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে এক ধরনের পরিকল্পিত অপপ্রচার শুরু হয়েছে। দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিপক্ষ একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ফেসবুক পেজ ও অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।দলীয় সূত্র মতে, প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ভুয়া আইডি, তথাকথিত ‘বট বাহিনী’ এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করে নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত শনিবার গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জামানতের অর্থ জমা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে তিনি দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। এরপরও অপপ্রচার থামেনি, বরং আরও সংগঠিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম হলেও নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর রাজনৈতিক জীবনের পথচলা কখনোই সহজ ছিল না। চাইলেই তিনি বিলাসী ও নিরাপদ জীবন বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও দলীয় রাজনীতির প্রশ্নে তিনি সংগ্রামের পথকেই নিজের জীবনের ব
মৌলভীবাজার-১ (জুড়ী–বড়লেখা) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে এক ধরনের পরিকল্পিত অপপ্রচার শুরু হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিপক্ষ একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ফেসবুক পেজ ও অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দলীয় সূত্র মতে, প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ভুয়া আইডি, তথাকথিত ‘বট বাহিনী’ এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করে নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত শনিবার গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জামানতের অর্থ জমা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে তিনি দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। এরপরও অপপ্রচার থামেনি, বরং আরও সংগঠিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।
ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম হলেও নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠুর রাজনৈতিক জীবনের পথচলা কখনোই সহজ ছিল না। চাইলেই তিনি বিলাসী ও নিরাপদ জীবন বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও দলীয় রাজনীতির প্রশ্নে তিনি সংগ্রামের পথকেই নিজের জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার ও নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে দমন-পীড়ন, প্রশাসনিক চাপ, কারাবাস ও ভয়ভীতির মধ্যেও তিনি ভেঙে পড়েননি। বরং প্রতিটি আঘাত তাঁকে আরও দৃঢ়, আরও আপসহীন করে তুলেছে। রাজনৈতিক সংকটের সময় যখন অনেকেই মাঠ ছেড়ে সরে গেছেন, তখন নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জুড়ী–বড়লেখার তৃণমূল নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন।
কারাগারের অন্ধকার সেলেও তিনি দলের চিন্তা থেকে সরে যাননি। প্রশাসনের নজরদারি ও চাপ উপেক্ষা করেও মাঠে থেকেছেন, কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং আন্দোলন–সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষায়, তাঁর এই ত্যাগ ও সাহসিক নেতৃত্ব না থাকলে জুড়ী–বড়লেখায় বিএনপির সংগঠন আজ যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানে পৌঁছানো কঠিন হতো। নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন; তিনি একজন শিল্পপতি, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবেও পরিচিত। এলাকার মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি নিজ উদ্যোগে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তিনি দুইবার জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং একবার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজের অবস্থান প্রমাণ করেছেন। দলীয় রাজনীতিতে তিনি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনে তিনি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন এবং বর্তমানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও ভোটাধিকার হরণের কারণে তিনি এখনো সংসদে পৌঁছাতে না পারলেও স্থানীয় জনগণের দৃঢ় বিশ্বাস—সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বহু আগেই তিনি জাতীয় সংসদে পৌঁছাতেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সহজ-সরল ও মার্জিত আচরণের মানুষ হিসেবে পরিচিত। পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান হয়েও বাবার মৃত্যুর পর মানবসেবা ও সামাজিক দায়িত্বে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর ছোট পরিবার থাকলেও বাস্তবে জুড়ী–বড়লেখার মানুষই তাঁর বৃহৎ পরিবার বলে মনে করেন তিনি। কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো, বিপদে পাশে থাকা এবং সংকটে নেতৃত্ব দেওয়াই তাঁর রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য। তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়, তৃণমূল পর্যায়ে জনসংযোগ এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিনি ৩১ দফার মূল দর্শন—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রশাসনের জবাবদিহিতা ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার—এসব বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। তাঁর বিশ্বাস, তারেক রহমানের এই ৩১ দফা কেবল একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনার একটি বাস্তবসম্মত ও জনগণকেন্দ্রিক রূপরেখা। সে লক্ষ্যেই জুড়ী–বড়লেখা এলাকায় সংগঠন শক্তিশালী করা, তরুণদের সম্পৃক্ত করা এবং জনগণের আস্থা ফেরাতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান মৌলভীবাজার–১ আসনে যে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তা সময়োপযোগী ও যথার্থ সিদ্ধান্ত। তাঁদের মতে, এটি কেবল সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনই নয়, বরং তৃণমূলের প্রত্যাশা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। এই সিদ্ধান্তে আসনের নেতাকর্মীরা সন্তুষ্ট ও উজ্জীবিত। তারা বলেন, মিঠু একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব নেতা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার–১ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আরও সুসংহত হবে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই আসনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মতে, নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু বিএনপির দুর্দিনের পরীক্ষিত কাণ্ডারী। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, কর্মীদের আগলে রাখেন এবং ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে রাজনীতির মাঠে অবিচল থাকেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাই একটি চক্রকে অপপ্রচারে উদ্বুদ্ধ করছে বলে মনে করছেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম প্রতিকূল পরিবেশ ও ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নাসির উদ্দিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ভোটকেন্দ্রে সীমিত সময়ের সুযোগ, নানা ধরনের বাধা ও চাপের মধ্যেও মাত্র দুই ঘণ্টার ভোটে তিনি প্রায় ৭৮ হাজার ভোট অর্জন করেন। এই ফলাফল তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, তৃণমূলে শক্ত অবস্থান এবং সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনেরই স্পষ্ট প্রমাণ। বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত থাকলে এই সমর্থন আরও বিস্তৃতভাবে প্রতিফলিত হবে এবং এই আসনটি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিয়ে সকল অপপ্রচারের জবাব দিবে।
দলীয় পর্যবেক্ষকদের অভিমত, চূড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর একজন জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাকে ঘিরে অপপ্রচার নতুন কিছু নয়। তবে তৃণমূলের শক্ত সমর্থন, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও মানুষের ভালোবাসাই সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেবে বলে তারা মনে করছেন।
What's Your Reaction?