বরগুনার আমতলী উপজেলায় নিহত বিকাশ ব্যবসায়ী কলেজছাত্র আবুল কাশেম মোল্লার বড় ভাই হাসান মাহমুদ মোল্লা বলেছেন- ‘আমার ভাই হত্যার দুই মাস পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি। যতবার পুলিশের কাছে গিয়েছি, ততবার হয়রানির শিকার হয়েছি। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের পুলিশ ইচ্ছে করেই গ্রেপ্তার করছে না। আমি কি আমার ভাই হত্যাকারীদের বিচার পাব না?’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া বাজারে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধনে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন তিনি।
বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী কলেজ ছাত্র আবুল কাশেম মোল্লাকে (২৫) গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে তার বাড়ির সামনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নগদ ছয় লাখ টাকা নিয়ে পরে তাকে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত কাশেম মোল্লার বাবা মো. নুর উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত আসামি করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার দুই মাস ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্টো পুলিশ মামলার বাদীর লোকজনকে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগ নিহত আবুল কাশেমের বড় ভাই হাসান মাহমুদ মোল্লার।
আব্দুর রাজ্জাক প্যাদার সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রফিক বিশ্বাস, মনির ঘরামী, নুরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মৃধা, শহীদুল মোল্লা, হাবিবুল্লাহ, মাসুম বিল্লাহ, জাহাঙ্গির হাওলাদার, নজরুল মোল্লা ও মোসা. মারুফা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা আবুল কাশেমের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, আবুল কাশেম মোল্লা পটুয়াখালী সরকারি কলেজে প্রাণী বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে
অধ্যায়নরত ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কলাগাছিয়া বাজারে বিকাশের ব্যবসা করতেন।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ কালবেলাকে বলেন, পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করছে না এবং বাদী পক্ষের লোকজনকে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস। ক্লুলেস এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকজনকে সন্দেহ করেছি কিন্তু তারা এলাকায় নেই। তারা মোবাইল ব্যবহার করছে না। সঠিক তথ্য উদঘাটনে বরগুনা পুলিশ সুপার স্যারও কাজ করছেন।