‘যারা আ’লীগ করে, সবাইকেতো সাগরে ফেলে দিতে পারবো না’

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ‘সব মানুষ কি অন্যায় করেছে? যারা অন্যায় করেছে, তারা কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। কেউ গর্তে লুকিয়ে আছে। অনেক মানুষ আছে এই এলাকায়, যারা আওয়ামী লীগ করে, তাদের সকলকেতো আমি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে পারবো না।’ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ভাঙ্গা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত যোগদান সভা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাবুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরে এ এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। গোপালগঞ্জকে বিভাগ করতে পারেন নাই, সেজন্য ফরিদপুররেও বিভাগ করেন নাই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফরিদপুরে বিভাগ হবেই। দেশে এমন কোনো পুরোনো জেলা খুঁজে পাবেন না, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এমনকি গোপালগঞ্জেও বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, কিন্তু ফরিদপুরে হয়নি।’ সভায় ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সহিদুল হক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লাভলু মুন্সীসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বিএনপিতে যোগ দেন। তাদের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় কৃষ

‘যারা আ’লীগ করে, সবাইকেতো সাগরে ফেলে দিতে পারবো না’

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ‘সব মানুষ কি অন্যায় করেছে? যারা অন্যায় করেছে, তারা কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। কেউ গর্তে লুকিয়ে আছে। অনেক মানুষ আছে এই এলাকায়, যারা আওয়ামী লীগ করে, তাদের সকলকেতো আমি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে পারবো না।’

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ভাঙ্গা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত যোগদান সভা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাবুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরে এ এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। গোপালগঞ্জকে বিভাগ করতে পারেন নাই, সেজন্য ফরিদপুররেও বিভাগ করেন নাই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফরিদপুরে বিভাগ হবেই। দেশে এমন কোনো পুরোনো জেলা খুঁজে পাবেন না, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এমনকি গোপালগঞ্জেও বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, কিন্তু ফরিদপুরে হয়নি।’

সভায় ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সহিদুল হক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লাভলু মুন্সীসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বিএনপিতে যোগ দেন। তাদের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুল।

এদিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গত কয়েকদিন ধরে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। সাবেক দুই এমপি কাজী জাফর উল্লাহর বেয়াই জাহাঙ্গীর মাতুবর থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার ভাতিজা মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের আস্থাভাজন শত শত নেতাকর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করছেন। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গা থানায় পৃথক দুটি মামলায় পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া অনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুলের হাতে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে চলছে যোগদানের হিড়িক।

যোগদানকারী নেতা সহিদুল হক প্রসঙ্গে ধানের শীষের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানকারী সহিদুল হকের সম্পর্কে আমি অনেককে জিজ্ঞাসা করেছি, সকলে ওনার সম্পর্কে ভালো বলেছেন। উনি আওয়ামী লীগের নামে, দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অন্যায় করেছে, কোনো অনিয়ম করেছে, কারও ওপর জুলুম করেছে বলে শুনি নাই।

আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানকারী নেতা সহিদুল হক যোগদান অনুষ্ঠানে বলেন, আমি সর্বশেষ ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি আজীবন নিষ্ঠার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতিকে কখনো আর্থিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করিনি। রাজনীতি ছিল আমার নেশা। তবে আজ থেকে আমি আর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আমি আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আমি আজ থেকে আর আওয়ামী লীগ করছি না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সব সম্পর্কের ইতি ঘটাচ্ছি।

ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, ভাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লাভলু মুন্সী প্রমুখ।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত সোমবার স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে পৌরসভার পূর্ব হাসামদিয়া মহল্লাসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকশো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ভাঙ্গা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লার বেয়াই জাহাঙ্গীর মতব্বরের নেতৃত্বে যোগদান করেন। মঙ্গলবার রাতেও বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় নওপাড়াতে পৌরসভার সাবেক কমিশনার জহুরুল হক মিঠু, বজলু মাতুব্বর ও বাস ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লা, কালাম মেম্বার, আইয়ুব মাতব্বর ও আইয়ুব মুন্সীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নিক্সন চৌধুরীর লোকজন এবং কাজী জাফর উল্লার শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ভাঙ্গা উপজেলা তথা ফরিদপুর-৪ আসনকে বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত করে তারুণ্যের শক্তি তারেক রহমানকে উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। দলীয় শৃঙ্খল ভেঙে যদি কেউ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে ওঠেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপির রাজনীতিতে কোনো বিভাজন নেই।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow