যারা হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করবে তাদের নির্মূল করাই আমাদের রাজনীতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সচেতন হবে কিন্তু কারও গোলামি করবে না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা খুনি হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করবে তাদের নির্মূল করাই আমাদের রাজনীতি। ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। শুধু যারা বাংলাদেশপন্থি তারাই রাজনীতি করবে।’ বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডাকসুর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি হলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সাদিক কায়েম বলেন, ‘আজকে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি, সেখানে কোনো গণরুম-গেস্টরুম নেই। কোনো টেন্ডারবাজি, ফাও খাওয়ার প্রবণতা নেই। এজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমরা কেউ নেতা না। আমরা শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি।’ ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরি হয়েছে আমরা সে কাঠামো ভেঙে দিতে চাই। প্রগতিশীল শিক্ষক নামের এক শ্রেণির কুলাঙ্গার হাসিনার পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করছে। যারা খুনির পক্ষ নিচ্ছে, তাদের শিক্ষকতা করার কোনো অধিকার নেই। যে জুলাইয়ের মাধ্

যারা হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করবে তাদের নির্মূল করাই আমাদের রাজনীতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সচেতন হবে কিন্তু কারও গোলামি করবে না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যারা খুনি হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করবে তাদের নির্মূল করাই আমাদের রাজনীতি। ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। শুধু যারা বাংলাদেশপন্থি তারাই রাজনীতি করবে।’

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডাকসুর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি হলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদিক কায়েম বলেন, ‘আজকে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি, সেখানে কোনো গণরুম-গেস্টরুম নেই। কোনো টেন্ডারবাজি, ফাও খাওয়ার প্রবণতা নেই। এজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমরা কেউ নেতা না। আমরা শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি।’

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরি হয়েছে আমরা সে কাঠামো ভেঙে দিতে চাই। প্রগতিশীল শিক্ষক নামের এক শ্রেণির কুলাঙ্গার হাসিনার পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করছে। যারা খুনির পক্ষ নিচ্ছে, তাদের শিক্ষকতা করার কোনো অধিকার নেই। যে জুলাইয়ের মাধ্যমে আজাদি পেয়েছি, সেই জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের,’ যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এদেশের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সমাজের একটি বড় অংশ। মানুষের মমতায় আমাদের বসবাস। পুরো দেশ আমাদের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত। এজন্য আমরা আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাদের ওয়াকিবহাল করতে চাই। আমরা একটি কঠিন সময় পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ‘ডাকসু ও হল সংসদ নেতারা গত দুই মাসে অনেক অসাধারণ কিছু কাজ করেছেন। প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যে অনেক অসাধারণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের বাজেটের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, দেশ এগিয়ে যাবে।’

ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে ও জিএস এস এম ফরহাদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এফএআর/একিউএফ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow