যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার
ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্যনীতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার। আবার, এই সময়ের মধ্যেই ১ লাখেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রেকর্ড ৪৩ দিনের সরকারি শাটডাউনের পর প্রকাশিত দেশটির কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পেলো, যখন ব্যাপক হারে সরকারি কর্মী ছাঁটাই ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানির ওপর ধারাবাহিক শুল্কবৃদ্ধির কারণে শ্রমবাজার দুর্বল হতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন শ্রম দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ১৯ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, যা আগস্টের তুলনায় বেশি। তবে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হয়। এদিকে, আগস্টের সংশোধিত তথ্য আগের ধারণার চেয়ে আরও নেতিবাচক চিত্র দেখিয়েছে। আগে ধারণা করা হয়েছিল যে ওই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ হাজার চাকরি যুক্ত হয়; কিন্তু সংশোধিত হিসাব বলছে, ওই সময় বরং ৪ হাজার চাকরি কমে যায়। সরকারি শাটডাউন দীর্ঘ হওয়ায় গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে সামগ্রিক শ্রমবাজারের কোনো সরকারি মূল্যায়ন প্রকাশিত হয়নি। ফলে এই প্রতিবেদন মূল
ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্যনীতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বেকারত্বের হার। আবার, এই সময়ের মধ্যেই ১ লাখেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রেকর্ড ৪৩ দিনের সরকারি শাটডাউনের পর প্রকাশিত দেশটির কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পেলো, যখন ব্যাপক হারে সরকারি কর্মী ছাঁটাই ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানির ওপর ধারাবাহিক শুল্কবৃদ্ধির কারণে শ্রমবাজার দুর্বল হতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন শ্রম দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ১৯ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, যা আগস্টের তুলনায় বেশি। তবে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হয়।
এদিকে, আগস্টের সংশোধিত তথ্য আগের ধারণার চেয়ে আরও নেতিবাচক চিত্র দেখিয়েছে। আগে ধারণা করা হয়েছিল যে ওই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ হাজার চাকরি যুক্ত হয়; কিন্তু সংশোধিত হিসাব বলছে, ওই সময় বরং ৪ হাজার চাকরি কমে যায়।
সরকারি শাটডাউন দীর্ঘ হওয়ায় গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে সামগ্রিক শ্রমবাজারের কোনো সরকারি মূল্যায়ন প্রকাশিত হয়নি। ফলে এই প্রতিবেদন মূলত একপ্রকার ‘পেছন ফিরে দেখা’।
এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব আরও বেড়েছে এই কারণে যে, ডিসেম্বরের ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকের আগে এটি হবে শেষ কর্মসংস্থান প্রতিবেদন। ওই বৈঠকে টানা তৃতীয় সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেড)। শ্রমবাজার দুর্বল হলে ফেডের ওপর সুদহার কমানোর চাপ বাড়তে পারে, যদিও প্রতিষ্ঠানটি মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।
সেপ্টেম্বরে পরিবহন ও গুদামখাতে, পাশাপাশি ফেডারেল সরকারের চাকরিতেও কর্মীহানি দেখা গেছে। অথচ স্বাস্থ্যসেবা খাতে চাকরি বেড়েছে। ফেডারেল সরকারে কর্মসংস্থান ওই মাসে ৩ হাজার কমেছে; জানুয়ারির সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৯৭ হাজার সরকারি চাকরি হারিয়েছে দেশ।
সেপ্টেম্বরে গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ ডলার ৬৭ সেন্টে। তবে বেকারত্ব বাড়লেও, নিয়োগের সংখ্যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। ডাউ জোন্স নিউজওয়্যারস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জরিপে অর্থনীতিবিদরা মাত্র ৫০ হাজার নতুন চাকরির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
দীর্ঘ বিলম্বের পরেও এই প্রতিবেদন অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অ্যালিয়াঞ্জ ট্রেড নর্থ আমেরিকার ড্যান নর্থ। তিনি এএফপিকে বলেন, এটি দেরিতে এলেও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চিত্র সম্পর্কে আমাদের ধারণা দিচ্ছে।
সরকারি শাটডাউনের কারণে মুদ্রাস্ফীতি, খুচরা বিক্রি থেকে শুরু করে নানা ধরনের সরকারি তথ্য প্রকাশও স্থগিত ছিল। এমনকি, জরিপের কিছু তথ্য সংগ্রহ ব্যাহত হওয়ায় শ্রম দপ্তর জানিয়েছে, অক্টোবরের বেকারত্বের হার প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
অক্টোবরের পূর্ণাঙ্গ চাকরি প্রতিবেদন প্রকাশের বদলে ওই মাসের প্রাপ্ত তথ্যগুলো নভেম্বর মাসের প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। শ্রম দপ্তর জানিয়েছে, নভেম্বরের তথ্য সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হবে এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হবে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, অক্টোবর-নভেম্বরের সমন্বিত তথ্য প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ
What's Your Reaction?