যুদ্ধবিরতি ভেঙে দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলের নতুন বিমান হামলা

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পরও লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ এই হামলা চালানো হলো বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। আল-জাজিরার মাঠ পর্যায়ের এক সংবাদদাতা জানান, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের আল-জাবুর, আল-কাত্রানি ও আল-রাইহান এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকার বুদাই ও হারমেল অঞ্চলও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননের দেইর সিরিয়ান শহরের ওয়াদি আল-কুসাইর এলাকাতেও পৃথক একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, এসব হামলার মাধ্যমে তারা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধা ও অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আঘাত হানছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবেই এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে হিজবুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যতদিন ইসরায়েল লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ চালাবে এবং দেশটির কিছু অংশ দখল করে রাখবে, ততদিন তারা নিজেদের অস্ত্র ত্যাগ করবে না। এরই মধ্যে কয়েক সপ্তাহ আগে পরি

যুদ্ধবিরতি ভেঙে দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলের নতুন বিমান হামলা

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পরও লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ এই হামলা চালানো হলো বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

আল-জাজিরার মাঠ পর্যায়ের এক সংবাদদাতা জানান, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের আল-জাবুর, আল-কাত্রানি ও আল-রাইহান এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকার বুদাই ও হারমেল অঞ্চলও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ লেবাননের দেইর সিরিয়ান শহরের ওয়াদি আল-কুসাইর এলাকাতেও পৃথক একটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, এসব হামলার মাধ্যমে তারা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধা ও অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আঘাত হানছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবেই এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

তবে হিজবুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যতদিন ইসরায়েল লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ চালাবে এবং দেশটির কিছু অংশ দখল করে রাখবে, ততদিন তারা নিজেদের অস্ত্র ত্যাগ করবে না।

এরই মধ্যে কয়েক সপ্তাহ আগে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ইসরায়েল বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার হাইসম আলী তাবাতাবাইকে হত্যা করে। ওই ঘটনার পর এখনো সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি হিজবুল্লাহ, তবে সংগঠনটি বলেছে, সঠিক সময় এলে তারা জবাব দেবে।

ইসরায়েলের লাগাতার হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানায়, ২০২৪ সালের শেষ দিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে লেবাননে অন্তত ১২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, এসব হামলা ‘যুদ্ধাপরাধের’ শামিল হতে পারে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি বহু দশক পর প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণকারী একটি কমিটিতে বেসামরিক প্রতিনিধি পাঠিয়েছে লেবানন ও ইসরায়েল। কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাসেম ওই আলোচনায় সাবেক রাষ্ট্রদূত সাইমন কারামকে লেবাননের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে একে ইসরায়েলের প্রতি ‘বিনা মূল্যের ছাড়’ বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে লেবাননের সরকারি কর্মকর্তারাও ইসরায়েলের প্রায় প্রতিদিনের হামলা নিয়ে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে চলমান এই আক্রমণ দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow