লেবাননের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি লেবাননের সেনাবাহিনী তাদের সীমান্তের কিছু গ্রামে বাসিন্দাদের যেতেও বাধা দিচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এখনও গ্রামগুলোতে বোমাবর্ষণ করছে।
আলজাজিরার প্রতিনিধি শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বলেন, ‘আমরা মাত্র কয়েক মিনিট আগে মাজদাল-জুনে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলার তথ্য জেনেছি।’
এদিকে শুক্রবার খিয়ামে জানাজার নামাজে হামলা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী শেষকৃত্যের সময় গুলি চালায়। এমনকি নিহত ব্যক্তির লাশও নিয়ে গেছে তারা। সেই লাশ আজও পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সেনারা লাশ কী করেছে তাও অজানা।
এ ছাড়া গত তিন দিনে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে অপহরণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শত্রুদের ড্রোন তাদের মাথার ওপরে চক্কর দিচ্ছে। কখন কোথায় বোমা ফেলবে তা আজও অনিশ্চিত।
পরিস্থিতি বলছে, ইসরায়েলি দিক থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন ক্রমাগত চলছে। একই সাথে তারা স্থল অভিযানের সময় যা চেয়েছিল তা অর্জন করার চেষ্টা করছে। আগের মতোই তারা এমন কিছু গ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে যেখানে এতদিন যেতে পারেনি। অর্থাৎ, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হিজবুল্লাহ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি এই ধরনের হামলা চলতে থাকে তবে কেউই আবারও সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে পারবে না। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। যুদ্ধ নতুন অঞ্চলে ছড়াতে পারে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের বিজয়। ২০০৬ সালের তুলনায় অনেক বড় এ বিজয়।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির দিনই তিনি এ ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন। তবে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে আর জনগণ কীভাবে বিষয়গুলো নেবে, সেটি দেখার জন্য তিনি এই দেরি করেছেন। বক্তৃতায় তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্কতা বজায় রাখেন।