যে ৬ সহজ কৌশল রক্ত পরীক্ষায় সুচের ভয় কমাতে সাহায্য করবে

অনেকেই রক্ত পরীক্ষার সময় বা ইনজেকশন নেওয়ার সময় সুচ দেখলে ভয় পান। এই ভয়কে চিকিৎসা ভাষায় ট্রাইপানোফোবিয়া বা নিডল ফোবিয়া বলা হয়। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি এতটাই বেশি হয় যে, তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসা থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু কিছু সহজ কৌশল মানলে এই ভয় অনেকটা কমানো সম্ভব। সুচের ভয়ের লক্ষণ - দ্রুত হৃৎস্পন্দন, ঘাম হওয়া, কাঁপুনি - বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়ার অনুভূতি সুচের ভয়ের কারণ - শৈশবে খারাপ অভিজ্ঞতা - সুচে ব্যথা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সুচের ভয় কমানোর ৬টি কার্যকর কৌশল জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি (CBT): থেরাপিস্টের সাহায্যে ভয়ের মূল কারণ চিহ্নিত করা হয় এবং সুচ সম্পর্কিত ভুল ধারণা পরিবর্তন করা হয়। মনোযোগ অন্যদিকে সরানো (Distraction): রক্ত পরীক্ষা বা ইনজেকশনের সময় গান শোনা, ভিডিও দেখা, বা মজার কিছু কথা মনে করার চেষ্টা করুন। নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাস: ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এটি হৃৎপিণ্ডের গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়া কমায়। পেশি শক্ত করা (Applied Tension Technique): রক্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ৩০ স

যে ৬ সহজ কৌশল রক্ত পরীক্ষায় সুচের ভয় কমাতে সাহায্য করবে

অনেকেই রক্ত পরীক্ষার সময় বা ইনজেকশন নেওয়ার সময় সুচ দেখলে ভয় পান। এই ভয়কে চিকিৎসা ভাষায় ট্রাইপানোফোবিয়া বা নিডল ফোবিয়া বলা হয়।

কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি এতটাই বেশি হয় যে, তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসা থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু কিছু সহজ কৌশল মানলে এই ভয় অনেকটা কমানো সম্ভব।

সুচের ভয়ের লক্ষণ

- দ্রুত হৃৎস্পন্দন, ঘাম হওয়া, কাঁপুনি

- বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়ার অনুভূতি

সুচের ভয়ের কারণ

- শৈশবে খারাপ অভিজ্ঞতা

- সুচে ব্যথা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা

সুচের ভয় কমানোর ৬টি কার্যকর কৌশল

জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি (CBT): থেরাপিস্টের সাহায্যে ভয়ের মূল কারণ চিহ্নিত করা হয় এবং সুচ সম্পর্কিত ভুল ধারণা পরিবর্তন করা হয়।

মনোযোগ অন্যদিকে সরানো (Distraction): রক্ত পরীক্ষা বা ইনজেকশনের সময় গান শোনা, ভিডিও দেখা, বা মজার কিছু কথা মনে করার চেষ্টা করুন।

নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাস: ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এটি হৃৎপিণ্ডের গতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়া কমায়।

পেশি শক্ত করা (Applied Tension Technique): রক্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হাত ও পায়ের পেশি শক্ত করুন এবং ছাড়ুন। এটি রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আগে থেকেই প্রস্তুতি: পর্যাপ্ত ঘুম নিন এবং পরীক্ষা করার আগে জল পান করুন। ক্লান্তি বা ডিহাইড্রেশন ভয় বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলা: পরীক্ষার আগে ভয়টা স্পষ্টভাবে জানালে তারা দ্রুত এবং শান্তভাবে কাজ করতে পারবেন এবং আপনার মানসিকভাবে সহায়তা করতে পারবেন।

এই সহজ কিছু কৌশল মানলে সূচের ভয় অনেকটা কমানো সম্ভব এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ভয় ছাড়াই করা যায়।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow