রংপুরে বেড়েছে সবজি-কাঁচামরিচের দাম, কমেছে ডিমের
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে অধিকাংশ সবজিসহ কাঁচামরিচের দাম। তবে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও পোলট্রি মুরগির ডিমের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংস ও চাল-ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১১০-১২০ টাকা। আর পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৮০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঝিংগা ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৯-৬০, মুলা ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতো ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, দুদকুষি ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে অধিকাংশ সবজিসহ কাঁচামরিচের দাম। তবে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও পোলট্রি মুরগির ডিমের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংস ও চাল-ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১১০-১২০ টাকা। আর পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৮০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঝিংগা ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৯-৬০, মুলা ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতো ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, দুদকুষি ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা, বরবটি আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১১০, পেঁপে আগের মতো ২০-২৫ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা থেকে লাফিয়ে হয়েছে ৮০-৯০ টাকা, লাউয়ের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর বই ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা, ধনেপাতা ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০-১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশি আদা ১২০-১৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৪০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং প্রকারভেদে শাকের আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ধাপ বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহমা বলেন, এখন শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে এরপরেও বাজারে দাম চড়া। পাইকারি বাজার থেকে আমাদের যে দামে কিনতে হয় তার থেকে ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করি। এখানে দাম বাড়া বা কমায় আমাদের কোনো হাত নেই। কেন হঠাৎ সবজির দাম বেড়েছে তা জানা নেই।
এদিকে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। দোকানভেদে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৭-৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২-৪৪ টাকা।
ধাপ বাজারের মুদি দোকানি চাঁন মিয়া বলেন, গত কয়েক মাসের মধ্যে খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন ডিমের দাম চলছে। এই অবস্থা কতদিন চলবে তার নিশ্চয়তা নেই।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়ে ১৮-২০ টাকা থেকে হয়েছে ২২-২৫ টাকা, শিল আলু গত সপ্তাহের মতোই ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩৫-৪০ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি এবং দেশি মুরগির দাম বেড়ে ৫০০-৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১০০-১০৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮২-৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমএন/এএসএম
What's Your Reaction?