রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাবেন বিএনপির ৩৭ হাজার নেতাকর্মী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজশাহী থেকে প্রায় ৩৭ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন। এ উপলক্ষে রাজশাহী থেকে ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাবেন তারা। রাজশাহী থেকে কোনো স্পেশাল ট্রেন না থাকলেও বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজনের কথা জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে রাজশাহী বিএনপির একটি সূত্র বলছে, রাজশাহী মহানগর ও জেলা থেকে প্রায় ৩৫-৩৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। দলীয়ভাবে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে নিজ উদ্যোগে আলাদাভাবে ঢাকায় গেছেন বা যাচ্ছেন। একইভাবে অনেকে ট্রেনে যাবেন। রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব বাস আগের দিন ও রাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে থেকে ৪টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এগুলো হলো পঞ্চগড়-ঢাকা, চাটমোহর-ঢাকা, যশোর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা। এ ছাড়া নাটোর-ঢাকার জন্য ট্রেনে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, এখনো অনুমতি মেলেনি। এসব ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় তিন হাজার। এদিন পাবনা-রাজশাহীর মধ্যে চলাচল করা ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ও রহনপুর-রাজশাহীর মধ্য

রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাবেন বিএনপির ৩৭ হাজার নেতাকর্মী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজশাহী থেকে প্রায় ৩৭ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন। এ উপলক্ষে রাজশাহী থেকে ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় যাবেন তারা। রাজশাহী থেকে কোনো স্পেশাল ট্রেন না থাকলেও বিভিন্ন ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজনের কথা জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তবে রাজশাহী বিএনপির একটি সূত্র বলছে, রাজশাহী মহানগর ও জেলা থেকে প্রায় ৩৫-৩৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। দলীয়ভাবে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে নিজ উদ্যোগে আলাদাভাবে ঢাকায় গেছেন বা যাচ্ছেন। একইভাবে অনেকে ট্রেনে যাবেন। রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব বাস আগের দিন ও রাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে থেকে ৪টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এগুলো হলো পঞ্চগড়-ঢাকা, চাটমোহর-ঢাকা, যশোর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা। এ ছাড়া নাটোর-ঢাকার জন্য ট্রেনে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, এখনো অনুমতি মেলেনি। এসব ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা প্রায় তিন হাজার। এদিন পাবনা-রাজশাহীর মধ্যে চলাচল করা ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ ও রহনপুর-রাজশাহীর মধ্যে চলাচল করা ‘রহনপুর কমিউটার’ ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।

একইসঙ্গে নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। এ কারণে স্বল্প দূরত্বের ৩টি কমিউটার ট্রেনের ওই দিনের যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা ও অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, রাজশাহী মহানগর থেকে ৭০টি বাস ছাড়াও মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে যাবেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন ও ট্রেনের বগি বুকিং করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে চলে গেছেন। যারা বাকি আছেন তারা বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার যাবেন। আমাদের ধারণা, রাজশাহী মহানগর থেকে ১৫ থেকে ১৬ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। সেই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী থেকে কোনো স্পেশাল ট্রেন নেই। তবে যে স্পেশাল ট্রেনগুলো রয়েছে সেগুলো বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিভিন্ন সময় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কোনো কোনো ট্রেন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে। এসব ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৫০৮ জন। এর বেশিও যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, রাজশাহী-৬ (বাঘ-চারঘাট) আসন থেকে ৪-৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবে। সবচেয়ে বেশি এই আসন থেকে যাবে। এ ছাড়া রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে সব মিলে ২২ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মী যাবেন। বাস যাবে, মাইক্রোবাস যাবে, ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। অনেকে ট্রেনে যাবেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে থেকে ৪টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এর মধ্যে পঞ্চগড়-ঢাকা, চাটমোহর-ঢাকা, যশোর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা আছে। এ ছাড়া নাটোর-ঢাকার ট্রেনে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, এখনো অনুমতি মেলেনি। আর রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচল করা একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow