রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

আজকাল আধুনিক কর্মব্যবস্থার কারণে অনেকেই রাত জেগে কাজ করা বা দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। অনেক অফিসে ২৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ হওয়ায় রাতের কাজ যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।  কিন্তু এই অভ্যাস যে শরীরের ওপর নীরবে ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে, তা অনেকেই টের পান না। বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য, মানসিক স্থিতি এবং হরমোনের ওপর রাত জাগা মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, বলছেন আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. ইলা গুপ্তা। ডা. গুপ্তা জানান, মানুষের শরীর একটি নির্দিষ্ট ঘুমের ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে। রাতে কাজ করার ফলে এই ছন্দ ভেঙে যায় এবং শরীরের হরমোনগুলো অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এতে নারীদের মাসিক চক্র বদলে যেতে পারে, মেলাটোনিন কম উৎপন্ন হয়, আর স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে। এই পরিবর্তনগুলো ডিম্বাণুর স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই প্রভাব দেখা যায়, রাত জাগলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে, যার ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান হ্রাস পায়। অনেক দম্পতির কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলেও শুধু অনিয়মিত জীবনযাপন ও গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা বন্ধ্যাত্বের লুকানো কারণ হ

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা
আজকাল আধুনিক কর্মব্যবস্থার কারণে অনেকেই রাত জেগে কাজ করা বা দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। অনেক অফিসে ২৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ হওয়ায় রাতের কাজ যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।  কিন্তু এই অভ্যাস যে শরীরের ওপর নীরবে ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে, তা অনেকেই টের পান না। বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য, মানসিক স্থিতি এবং হরমোনের ওপর রাত জাগা মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, বলছেন আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. ইলা গুপ্তা। ডা. গুপ্তা জানান, মানুষের শরীর একটি নির্দিষ্ট ঘুমের ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে। রাতে কাজ করার ফলে এই ছন্দ ভেঙে যায় এবং শরীরের হরমোনগুলো অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এতে নারীদের মাসিক চক্র বদলে যেতে পারে, মেলাটোনিন কম উৎপন্ন হয়, আর স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে। এই পরিবর্তনগুলো ডিম্বাণুর স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই প্রভাব দেখা যায়, রাত জাগলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে, যার ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান হ্রাস পায়। অনেক দম্পতির কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলেও শুধু অনিয়মিত জীবনযাপন ও গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা বন্ধ্যাত্বের লুকানো কারণ হতে পারে। রাত জাগার আরও একটি বড় সমস্যা হলো মানসিক চাপ। গভীর রাতে কাজ করা ব্যক্তিদের শরীর ও মন নিয়ত চাপের মধ্যে থাকে। এতে তারা ঠিকমতো খাবার খান না, অতিরিক্ত ক্যাফেইন নেন এবং ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। মানসিক চাপ ও অপুষ্টি একসঙ্গে মিলে প্রজনন ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে। তাছাড়া ক্যারিয়ার গড়ার চাপে অনেক দম্পতি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফার্টিলিটি স্বাভাবিকভাবেই কমে, আর রাত জাগার মতো অভ্যাস এই সমস্যা আরও ত্বরান্বিত করে। ডা. ইলা গুপ্তা মনে করেন, কাজের সময়সূচি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, কিন্তু জীবনধারায় পরিবর্তন আনা যায়। নিয়মিত ঘুমের সময় বজায় রাখা, রাতের স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনা, সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা - এই ছোট ছোট পরিবর্তন ভবিষ্যতের বড় ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, আজ সামান্য সচেতনতা আনতে পারলে আগামী দিনে জটিল স্বাস্থ্যসমস্যা থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow