ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সর্বদা সমর্থন করবে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং উন এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বলছে, কিম শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ে সফররত রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রশংসা করেন।
কিম বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সরকার ও সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণ মার্কিন, পশ্চিম এবং কিয়েভকে কঠোর বার্তা দেওয়ার জন্য একটি সময়োপযোগী এবং কার্যকর পদক্ষেপ। আধিপত্যের খায়েশে সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার নীতিকে সমর্থন করে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার নেতা এই বছরের জুনে পিয়ংইয়ং শীর্ষ সম্মেলনের স্মৃতি স্মরণ করেন। সে সময় সম্পাদিত উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তির অধীনে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামরিক বিষয়সহ সকল ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত ও বিকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২ নভেম্বর ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা (জিইউআর) জানিয়েছে- রাশিয়া অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সাত হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনাকে ইউক্রেনের নিকটবর্তী এলাকায় স্থানান্তর করেছে। ২৮টি রুশ বিমানে তাদের পরিবহন করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মর্টার, অ্যাসল্ট রাইফেল এবং মেশিনগান দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, রাশিয়া কুর্স্ক থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটানোর জন্য ৪৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হলেও রাশিয়া বা পিইয়ংইয়ং যুদ্ধে সেনা নামানোর কথা স্বীকার করেনি। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে ইউক্রেন তাদের গুলি করতে পারে।
এমন অভিযোগের মধ্যে বারবার উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করে আসছে। কিম জং উনে সর্বশেষ প্রতিশ্রুতিও এ ধারাবাহিকতার অংশ।