রুম হিটার ছাড়াই শীতে ঘর গরম রাখার সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়

একটু একটু করে শীত বাড়তে শুরু করেছে। দুপুরবেলা রোদ থাকলেও রাতের ঠান্ডা বাতাস শীতের আসল অনুভূতি দেয়। এ সময় অনেকেই ঘরের উষ্ণতার জন্য রুম হিটারের উপর ভরসা করেন বা কেনার ভাবনাচিন্তাও করেন। তবে চিন্তা নেই! বাড়িতে কৃত্রিম হিটার না থাকলেও প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের উষ্ণতা বাড়ানো সম্ভব। ছোট কিছু পদক্ষেপেই ঘর হবে আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে প্রাকৃতিক উপায় শতে গরম রাখবেন- ১. দিনের বেলার রোদঘরের জানালা দিয়ে যদি রোদ প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে, তবে দিনের বেলা রোদ থাকা পর্যন্ত জানালা খোলা রাখুন। সূর্যের আলো ঘরে ঢুকলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব অনেকাংশে কমে যায়।তবে রোদ চলে গেলে জানালা বন্ধ করে দেবেন।  ২. আসবাবপত্র পুনরায় সাজানোশীতের দিনে ঘর একেবারে ফাঁকা না রেখে সেখানে কিছু আসবাবপত্র রাখার চেষ্টা করুন। ফাঁকা ঘরে ঠান্ডা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ফলে ঘর বেশি ঠান্ডা হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থাকলে ঘরের ভেতরের উষ্ণতা কিছুটা ধরে রাখা যায়। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ঘরে আলো জ্বেলে রাখার অভ্যাস করুন। আলো থেকে নির্গত সামান্য তাপও ঘরকে গরম ও আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে। ৩. কার্পেট কিংবা ম্যাটের ব্যবহার শীতকাল

রুম হিটার ছাড়াই শীতে ঘর গরম রাখার সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়

একটু একটু করে শীত বাড়তে শুরু করেছে। দুপুরবেলা রোদ থাকলেও রাতের ঠান্ডা বাতাস শীতের আসল অনুভূতি দেয়। এ সময় অনেকেই ঘরের উষ্ণতার জন্য রুম হিটারের উপর ভরসা করেন বা কেনার ভাবনাচিন্তাও করেন।

তবে চিন্তা নেই! বাড়িতে কৃত্রিম হিটার না থাকলেও প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের উষ্ণতা বাড়ানো সম্ভব। ছোট কিছু পদক্ষেপেই ঘর হবে আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে প্রাকৃতিক উপায় শতে গরম রাখবেন-

১. দিনের বেলার রোদ
ঘরের জানালা দিয়ে যদি রোদ প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে, তবে দিনের বেলা রোদ থাকা পর্যন্ত জানালা খোলা রাখুন। সূর্যের আলো ঘরে ঢুকলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব অনেকাংশে কমে যায়।তবে রোদ চলে গেলে জানালা বন্ধ করে দেবেন।

 ২. আসবাবপত্র পুনরায় সাজানো
শীতের দিনে ঘর একেবারে ফাঁকা না রেখে সেখানে কিছু আসবাবপত্র রাখার চেষ্টা করুন। ফাঁকা ঘরে ঠান্ডা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ফলে ঘর বেশি ঠান্ডা হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থাকলে ঘরের ভেতরের উষ্ণতা কিছুটা ধরে রাখা যায়। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ঘরে আলো জ্বেলে রাখার অভ্যাস করুন। আলো থেকে নির্গত সামান্য তাপও ঘরকে গরম ও আরামদায়ক রাখতে সাহায্য করে।

Cold

৩. কার্পেট কিংবা ম্যাটের ব্যবহার
শীতকালে ঘরের ঠান্ডা মেঝেতে পা রাখা সত্যিই কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই এই সময়টায় মেঝে থেকে ঠান্ডা দূর করতে পাট বা নারিকেল দড়ি দিয়ে তৈরি কার্পেট কিংবা ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন। এতে মেঝের ঠান্ডা কম অনুভূত হবে এবং ঘর থাকবে তুলনামূলক উষ্ণ ও আরামদায়ক।

৪. পুরোনো খবরের কাগজের ব্যবহার
দরজা বা জানালায় যদি কোনো ফাঁকা অংশ থাকে, তবে সেখান দিয়ে ঠান্ডা বাতাস সহজেই ঘরে ঢুকে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে ঘরে থাকা পুরোনো খবরের কাগজ কাজে লাগান। খবরের কাগজ রোল করে নিয়ে দরজা বা জানালার ফাঁকা জায়গায় আটকে দিন। এতে ঠান্ডা বাতাস ঢোকা কমবে এবং ঘরের ভেতরের উষ্ণতাও কিছুটা ধরে রাখা যাবে।

co

৫. সহজ কিছু জিনিসপত্র
রুম হিটার ছাড়াও ঘর উষ্ণ রাখতে কাজে আসে দেশজ কিছু সহজ জিনিসপত্র। যেমন খাদি বা পুরোনো কাপড় দিয়ে তৈরি কম্বল শীতের সময় আরাম দিতে পারে। এসব কম্বল শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখে এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। প্রাকৃতিক উপায়ে শীত মোকাবিলায় এগুলো হতে পারে কার্যকর ও নিরাপদ সমাধান।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন:
কতদিন পরপর ধোয়া উচিত আপনার শীতের পোশাক 
শীতে উলের পোশাক ভালো রাখবেন যেভাবে 

এসএকেওয়াই/

 

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow