রোগী দেখার সময় চিকিৎসকের গেম খেলা, জনমনে ক্ষোভ

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে রোগী দেখার ফাঁকে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে দেখা গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামরিন সুলতানাকে (তৃনা)। এক হাতে প্রেসক্রিপশন করা, অন্য হাতে মোবাইল ফোনে গেম খেলার এমন দৃশ্যের ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি জানাজানি হতেই রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা রোগী পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও ডা. তৃনা মোবাইল স্ক্রিনে গেম খেলায় ব্যস্ত। এ ঘটনায় সেবা প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন মানুষের জীবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করে একজন চিকিৎসকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে রোগীরা কতটা নিরাপদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী জানান, আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসি, এখানে ডাক্তারদের হাতেই থাকে আমাদের জীবন-মৃত্যুর সিদ্ধান্ত। কিন্তু যেভাবে তিনি রোগী দেখছেন, তাতে স্পষ্ট অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। কুষ্টিয়াতে অনেক বেসরকারি ক্লিনিক আছে, সেখানে উচ্চ ভিজিটের বিনিময়ে যত্নসহকারে রোগী দেখা হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যদি শুরুতেই এমন অবহেলা দেখা দেয় তবে আমরা কুষ

রোগী দেখার সময় চিকিৎসকের গেম খেলা, জনমনে ক্ষোভ

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে রোগী দেখার ফাঁকে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে দেখা গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামরিন সুলতানাকে (তৃনা)। এক হাতে প্রেসক্রিপশন করা, অন্য হাতে মোবাইল ফোনে গেম খেলার এমন দৃশ্যের ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি জানাজানি হতেই রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা রোগী পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও ডা. তৃনা মোবাইল স্ক্রিনে গেম খেলায় ব্যস্ত। এ ঘটনায় সেবা প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন মানুষের জীবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করে একজন চিকিৎসকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে রোগীরা কতটা নিরাপদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী জানান, আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসি, এখানে ডাক্তারদের হাতেই থাকে আমাদের জীবন-মৃত্যুর সিদ্ধান্ত। কিন্তু যেভাবে তিনি রোগী দেখছেন, তাতে স্পষ্ট অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। কুষ্টিয়াতে অনেক বেসরকারি ক্লিনিক আছে, সেখানে উচ্চ ভিজিটের বিনিময়ে যত্নসহকারে রোগী দেখা হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যদি শুরুতেই এমন অবহেলা দেখা দেয় তবে আমরা কুষ্টিয়াবাসী কোথায় যাবো। তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনারুল কবির কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ডিউটিরত অবস্থায় মোবাইলে গেম খেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি তার ভুল। আমরা তাকে অফিসিয়ালি কৈফিয়ত তলব করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে ডা. শামরিন সুলতানা তৃনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow