লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে আগাম জাতের ফুলকপি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। বেশি লাভের আশায় এবার রবি মৌসুমে ফুলকপি চাষ শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। এরই মধ্যে জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ করেছেন তারা। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারজাতকরণ শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।  কৃষকরা জানান, আগাম জাতের ফুলকপিতে চাষে রোগবালাই কম হয়, ফলনও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই প্রতি বছর আগাম জাতের ফুলকপির প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি রবি মৌসুমে মোট ১ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে শস্য চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ফুলকপি রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আগাম ফুলকপি চাষিদের রোগবালাই দমন ও সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ফুলকপি চাষিরা দ্রুত বাজারজাতের লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ নিড়ানিতে ব্যস্ত। ফুলকপির ক্ষেতের অনেকটাই বাজারজাতের উপযোগী হয়ে এসেছে। এখন বাজারে কপির অনেক দাম রয়েছে। বাজারজাত করতে পারলে খরচের দ্বিগুণ লাভ সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাই দ্বিগুণ লাভের আশায় তারা দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছ

লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে আগাম জাতের ফুলকপি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। বেশি লাভের আশায় এবার রবি মৌসুমে ফুলকপি চাষ শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। এরই মধ্যে জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ করেছেন তারা। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারজাতকরণ শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা। 

কৃষকরা জানান, আগাম জাতের ফুলকপিতে চাষে রোগবালাই কম হয়, ফলনও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই প্রতি বছর আগাম জাতের ফুলকপির প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি রবি মৌসুমে মোট ১ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে শস্য চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ফুলকপি রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আগাম ফুলকপি চাষিদের রোগবালাই দমন ও সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ফুলকপি চাষিরা দ্রুত বাজারজাতের লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ নিড়ানিতে ব্যস্ত। ফুলকপির ক্ষেতের অনেকটাই বাজারজাতের উপযোগী হয়ে এসেছে। এখন বাজারে কপির অনেক দাম রয়েছে। বাজারজাত করতে পারলে খরচের দ্বিগুণ লাভ সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাই দ্বিগুণ লাভের আশায় তারা দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

উপজেলার দক্ষিণ দলদলিয়া পাতিলাপুর মিয়া পাড়া এলাকার চাষি কামরুজ্জামান জানান, তিনি ২২ শতক জমিতে তিন হাজার ফুলকপি চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। এ চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। আর আয় প্রত্যাশা করছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার চাষি সকওয়াত, কুদ্দুস আলী, ফিদ্দুস আলী, মান্না, তারাজুলসহ আরও অনেকে বলেন, এবারের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম কপির ফলন চমৎকার হয়েছে। বাজারদর ভালো থাকায় তারা বাম্পার লাভের আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, আগাম জাতের কপিতে সাধারণত পোকামাকড় বা রোগের আক্রমণ কম হয়। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হন। বাজারদরও অনুকূলে থাকায় এবার চাষিদের সন্তুষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow