লিবিয়ার সেনাপ্রধানকে বহনকারী প্লেন বিধ্বস্তের কারণ জানালো তুরস্ক

লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে বহনকারী একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান দুর্ঘটনার আগে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানায়। তুরস্কের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, বিমানটি আকাশে থাকাকালীন বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল। বিমানটিতে লিবিয়ার চিফ অব জেনারেল স্টাফ মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদ, তার চারজন সফরসঙ্গী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টারে তারা জরুরি পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অবতরণের অনুরোধ করেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। এদিকে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে আল-হাদ্দাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এবং দেশ ও সেনাবাহিনীর জন্য এটি বড় ক্ষতি। আল-হাদ্দাদ পশ্চিম লিবিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে লিবিয়ার বিভক্ত সেনাবাহিনীকে একীভূত করার প্রচেষ্টায় গ

লিবিয়ার সেনাপ্রধানকে বহনকারী প্লেন বিধ্বস্তের কারণ জানালো তুরস্ক

লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে বহনকারী একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান দুর্ঘটনার আগে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানায়। তুরস্কের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, বিমানটি আকাশে থাকাকালীন বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল।

বিমানটিতে লিবিয়ার চিফ অব জেনারেল স্টাফ মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদ, তার চারজন সফরসঙ্গী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টারে তারা জরুরি পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অবতরণের অনুরোধ করেন।

তবে এর কিছুক্ষণ পরই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।

এদিকে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে আল-হাদ্দাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এবং দেশ ও সেনাবাহিনীর জন্য এটি বড় ক্ষতি।

আল-হাদ্দাদ পশ্চিম লিবিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে লিবিয়ার বিভক্ত সেনাবাহিনীকে একীভূত করার প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

নিহত অন্য কর্মকর্তারা হলেন— স্থলবাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাওয়ি, সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাওয়ি দিয়াব এবং সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।

তুরস্কের কর্মকর্তারা জানান, লিবিয়ার এই প্রতিনিধি দলটি দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনায় অংশ নিতে আঙ্কারায় গিয়েছিল।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow