লিভারের জন্য বিপজ্জনক যে ৫ খাবার
লিভার আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি বিপাক, হজম, পুষ্টি রূপান্তর এবং রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করার কাজ করে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে লিভারের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে লিভারে চর্বি জমা, প্রদাহ এবং সিরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্যানুসারে, লিভারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ৫ খাবার হলো— ১. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও মাংস বেকন, সসেজ, হট ডগ এবং ডেলি মিটের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস ও স্ন্যাকস লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং নাইট্রাইটের মাত্রা বেশি থাকে। নিয়মিত খেলে ফ্যাটি লিভার ও লিভার ফাইব্রোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণা দেখাচ্ছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ব্যাহত হয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা লিভারের পুনরুদ্ধার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর পরিবর্তে ডাল, ছোলা ও বিনজাতীয় খাবার খেলে লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা হয়। ২. অ্যালকোহল লিভারের বড় ক্ষতির সরাসরি কারণ অ্যালকোহল সেবন। কেউ অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভার চর্বি জমা, প্রদাহ এবং দাগ (সিরোসিস)
লিভার আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি বিপাক, হজম, পুষ্টি রূপান্তর এবং রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করার কাজ করে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে লিভারের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে লিভারে চর্বি জমা, প্রদাহ এবং সিরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্যানুসারে, লিভারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ৫ খাবার হলো—
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও মাংস
বেকন, সসেজ, হট ডগ এবং ডেলি মিটের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস ও স্ন্যাকস লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং নাইট্রাইটের মাত্রা বেশি থাকে। নিয়মিত খেলে ফ্যাটি লিভার ও লিভার ফাইব্রোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণা দেখাচ্ছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ব্যাহত হয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা লিভারের পুনরুদ্ধার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর পরিবর্তে ডাল, ছোলা ও বিনজাতীয় খাবার খেলে লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা হয়।
২. অ্যালকোহল
লিভারের বড় ক্ষতির সরাসরি কারণ অ্যালকোহল সেবন। কেউ অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভার চর্বি জমা, প্রদাহ এবং দাগ (সিরোসিস) এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিস বা স্থায়ী লিভার ফেইলিওর দেখা দেয়। এটি ঘটে কারণ লিভার বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করতে শুরু করে, একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ব্যবহার করে যার ফলে কোষের ক্ষতি হয় এবং মৃত্যু হয়।
৩. পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং সাদা ময়দা
মানবদেহ সাদা রুটি, পাস্তা এবং অন্যান্য পরিশোধিত ময়দার পণ্য এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করে, যা চিনি খাওয়ার মতো। শরীর এই খাবারগুলো দ্রুত হজম করে, যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা লিভারকে চিনিকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধ্য করে। এই বিপাকীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিভার নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত সাদা ভাত, ময়দার রুটি এবং অন্যান্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় যার ফলে লিভারের চর্বি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সাদা ময়দার পণ্য খাওয়ার পরিবর্তে হোল গ্রেইন ফুড নির্বাচন করলে আপনার লিভারের স্বাস্থ্য উপকৃত হবে।
৪. চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়
কোমল পানীয় এবং ক্যান্ডিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং ফ্রুক্টোজ পাওয়া যায়, যার ফলে এ ধরনের খাবার খেলে লিভার তাৎক্ষণিকভাবে বিপদের সম্মুখীন হয়। গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, চিনিযুক্ত পানীয় অর্থাৎ সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজযুক্ত খাবার, লিভারে চর্বি উৎপাদন দ্বিগুণ করে, এমনকি কম মাত্রায়ও। লিভারে চর্বি জমার ফলে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) হয়, যা লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতিদিন চিনিযুক্ত পানীয় পান করেন, তাদের লিভারে চর্বি জমা হয়।
৫. ভাজা এবং ফাস্ট ফুড
অস্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে ভাজা খাবার রান্না করার প্রক্রিয়ার ফলে বিপজ্জনক চর্বি তৈরি হয় যা লিভারে চর্বি জমার দিকে নিয়ে যায়। নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে লিভারে দ্রুত চর্বি জমতে থাকে। ফাস্ট ফুডে অতিরিক্ত চর্বি, চিনি এবং লবণের সংমিশ্রণ থাকে যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, যারা তাদের প্রতিদিনের খাবারের ২০% ফাস্ট ফুড খেয়েছেন, তাদের লিভারে চর্বির মাত্রা বেশি ছিল, বিশেষ করে যখন তাদের স্থূলতা বা ডায়াবেটিস ছিল।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
What's Your Reaction?