লেবানন নিয়ে ভয়ংকর এক খেলায় মেতে উঠেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। বহু দর-কষাকষির পর গত সপ্তাহে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের অল্প কিছুক্ষণ আগেও ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়ে লেবাননে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি। এখন লেবানন পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এরই মধ্যে লেবাননে বেড়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের আনাগোনা।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, বুধবার লেবানন পৌঁছান স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড সেন্ট্রালের মেজর জেনারেল জেসপার জেফারস। দেশটিতে পৌঁছেই তিনি লেবাননের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে গেল ২৬ নভেম্বর প্রতিরোধ যোদ্ধা ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
এই যুদ্ধবিরতি ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কি না, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত আমোস হোচেস্টেইনের সঙ্গে মিলে তা দেখভাল করবে মেজর জেনারেল জেফারস। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন এই মনিটরিং টিমে লেবাননের সেনাবাহিনী, ইসরায়েলি বাহিনী, জাতিসংঘের মিশন এবং ফ্রান্সও রয়েছে। স্থায়ী কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই টিমের বেসামরিক কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হোচেস্টেইন।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, যা পরে আরও বাড়ানো হতে পারে।
নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হিজবুল্লাহ যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
চুক্তি অনুসারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েল তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত থেকে সরে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে সরে যাবে। এ ছাড়া তারা নতুন করে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা নিজেদের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, বর্তমানে আগের মতো শক্তিশালী নেই হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। তেলআবিব যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণ করেছে। এ সময় চুক্তি অমান্য করলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।