শান্তি স্থাপনে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চায় সেনাবাহিনী প্রধান বুরহান
সুদানে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মিশর সুদানের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) ট্রাম্পের প্রতি এমন আহ্বান জানানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বুরহান লিখেছেন, সুদানের জনগণ এখন ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা আশা করি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে সত্যিকারের শান্তি কামনাকারী আঞ্চলিক পক্ষগুলো একসঙ্গে কাজ করে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। বুরহান তার নিবন্ধে আরও বলেছেন, সুদানের জনগণ বিশ্বাস করে যে, ট্রাম্প সরাসরি কথা বলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেন এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় সক্ষম। বুরহান তার ১,২০০ শব্দের লেখায় দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধকে তুলে ধরেছেন। একদিকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী এবং অন্যদিকে গণহত্যায় লিপ্ত একটি মিলিশিয়া। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধের পর গত
সুদানে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মিশর সুদানের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) ট্রাম্পের প্রতি এমন আহ্বান জানানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বুরহান লিখেছেন, সুদানের জনগণ এখন ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা আশা করি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে সত্যিকারের শান্তি কামনাকারী আঞ্চলিক পক্ষগুলো একসঙ্গে কাজ করে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।
বুরহান তার নিবন্ধে আরও বলেছেন, সুদানের জনগণ বিশ্বাস করে যে, ট্রাম্প সরাসরি কথা বলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেন এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় সক্ষম।
বুরহান তার ১,২০০ শব্দের লেখায় দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধকে তুলে ধরেছেন। একদিকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী এবং অন্যদিকে গণহত্যায় লিপ্ত একটি মিলিশিয়া।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধের পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ট্রাম্প সুদানের যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এ বছরের জানুয়ারিতে আরএসএফকে দারফুরে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বুরহানের বাহিনীর বিরুদ্ধেও বেসামরিক নাগরিক হত্যাসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আরএসফ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে—যদিও বাস্তব সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মানবিক সংস্থাগুলো। যুদ্ধের কারণে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশজুড়ে মহামারি ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তীব্র হয়েছে।
সুদানে এখন যে গৃহযুদ্ধ চলছে তা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তিন দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার মধ্য দিয়ে এ সংকট শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুদানের ক্ষমতায় আসা ওমর আল-বশিরকে পদ থেকে সরাতে ২০১৯ সালে সুদানে ব্যাপক হারে বিক্ষোভ হয়। এর ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পতন ঘটে।
কেএম
What's Your Reaction?