শাপলা কলির ডিজাইন পাইনি, নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে পারছি না

নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো শাপলা কলি প্রতীকের ডিজাইন (নকশা) এনসিপি পায়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, (প্রতীকের নকশা না পাওয়ায়) আমরা নির্বাচনি প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের দল গঠনের পরে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সব পেপার সাবমিট করার পরে আমাদের প্রত্যেকটা দলীয় অফিসে হয়রানি করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার যারা ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, তারা সেখানে যারা ভাড়া দিয়েছিল, তাদেরকে ডিস্টার্ব করেছিলেন। মাঠ পর্যায়ে তাদের হুমকি থেকে শুরু করে পারিবারিক হেনস্তা পর্যন্ত করেছিল। প্রতীকের ক্ষেত্রে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় করেছে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর স্বার্থে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা শাপলা কলি মার্কা নিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলেকশন কমিশন থেকে আমরা আমাদের শাপলা কলির যে ডিজাইনটা এটা এখনো পাইনি। আমরা নির্বাচনি প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা

শাপলা কলির ডিজাইন পাইনি, নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে পারছি না

নির্বাচন কমিশন থেকে এখনো শাপলা কলি প্রতীকের ডিজাইন (নকশা) এনসিপি পায়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, (প্রতীকের নকশা না পাওয়ায়) আমরা নির্বাচনি প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।

রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের দল গঠনের পরে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সব পেপার সাবমিট করার পরে আমাদের প্রত্যেকটা দলীয় অফিসে হয়রানি করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার যারা ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, তারা সেখানে যারা ভাড়া দিয়েছিল, তাদেরকে ডিস্টার্ব করেছিলেন। মাঠ পর্যায়ে তাদের হুমকি থেকে শুরু করে পারিবারিক হেনস্তা পর্যন্ত করেছিল। প্রতীকের ক্ষেত্রে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় করেছে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর স্বার্থে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা শাপলা কলি মার্কা নিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইলেকশন কমিশন থেকে আমরা আমাদের শাপলা কলির যে ডিজাইনটা এটা এখনো পাইনি। আমরা নির্বাচনি প্রচারণার কাজে নামতে পারছি না। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় ঐকমত্য কমিশন থেকে আদেশ বাস্তবায়ন পর্যন্ত আমাদের একটা জার্নি ছিল। আমরা বলেছিলাম, সংস্কার-বিচার আগে, তারপরে হলো নির্বাচন। সংস্কার কার্যক্রম একটা প্রক্রিয়ায় গিয়েছে। এখন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে দায়িত্ব এটা বাস্তবায়ন কীভাবে আমরা করবো। তাদের কমিটমেন্ট ইস্যু এবং বিচারের জায়গায় শেখ হাসিনার রায় হয়েছে। আমরা গতকাল মিছিল করেছি যে তার রায়টা যেটা হয়েছে, এটা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারকে যাওয়ার জন্য। আমরা এই দুইটা প্রক্রিয়া শেষ করে ইলেকশন প্রসেসে যাচ্ছি। আমরা যে কমিটমেন্টটা দিয়েছিলাম, সেটা আমরা রেখেছি। আগামীতে ইনশাআল্লাহ সংসদে গিয়ে জনগণকে যে কমিটমেন্টগুলো দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা চালাবো।

আরও পড়ুন
নির্বাচনে আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা করবো না: নাহিদ ইসলাম 
মিত্রদের কীভাবে সামাল দেবে বিএনপি? 

গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিক্রি করা হচ্ছে- এমন প্রশ্ন তুলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার। এই তিনটি চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধকে শুধু আওয়ামী লীগ নিজের পকেটস্থ করেছিল। ফলে চেতনা অর্থ খারাপ না, স্পিরিট জিনিসটা খারাপ না- যদি সাম্য, মানবিক, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি দেশ আমরা গড়তে পারতাম, তাহলে আজ ২০২৪ সালে এসে আমাদের ২০০০ শহীদ হতো না। তেমনিভাবে যারা কুলি, মজুর, শ্রমিক আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা রাজপথে এসে রক্ত দিয়েছিলেন- তারা একটা স্পিরিটের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। তাদের স্পিরিটটা ছিল বাংলাদেশে একটা নিউ সেটেলমেন্ট হবে। বাংলাদেশে একটা সোশ্যাল কন্টাক্ট হবে। বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচার যেটা রয়েছে সেটার পরিবর্তন হবে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের যারা লড়াইটা করেছিল তাদের সংসদে যাওয়াটা অপরিহার্য। এই জন্য আমরা যারা ভালো ক্যান্ডিডেট তাদেরকে ঘোষণা করবো। আজ তাদের সাক্ষাৎকার শুরু হবে। তারা শাপলা কলি মার্কা নিয়ে সংসদে যাবেন। তারা আপনাদের যে স্পিরিটগুলো রয়েছে, আমরা সংসদে গিয়ে সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করবো।

বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় মন্তব্য করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা বিচার বিভাগ স্বাধীন করতে চাই। এটা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। যেই চেতনাগুলার কথা বলি আমরা সেগুলা যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই ভবিষ্যৎ যে বাংলাদেশের স্বপ্নটা আমি আপনি দেখি সেটা আমাদের গঠন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা আওয়ামী লীগ ছিল, তাদের তারা রিমুভ করেনি। প্রশাসনে যারা আওয়ামী লীগ ছিল তাদের এখনো রেখে দিয়েছে। প্রস্তাবনা উঠেছিল দলীয় বিবেচনায় বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনিক নিয়োগ না দিয়ে স্বচ্ছ একটা প্রক্রিয়ার মধ্যমে দেওয়া। আমাদের প্রশাসনের যিনি এখন হেড এই কার্যক্রমটা প্রধান উপদেষ্টা হাতে নিয়েছেন।

এনএস/কেএসআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow