শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাল জামায়াত

চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সই করা নোটিশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৫) নভেম্বর সন্ধ্যায় জামায়াতের ভেরিফায়েড পেজে নোটিশটি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, গত ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহজাহান চৌধুরী বলেন— নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়; বরং যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছেন, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে, মামলা করবে। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের সর্বস্তরে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এমনকি কূটনৈতিক মহল থেকেও সরাসরি প্রতিক্রিয়া আসে। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্বের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের পরিপন্থি। দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শের

শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাল জামায়াত
চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সই করা নোটিশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৫) নভেম্বর সন্ধ্যায় জামায়াতের ভেরিফায়েড পেজে নোটিশটি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, গত ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহজাহান চৌধুরী বলেন— নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়; বরং যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছেন, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে, মামলা করবে। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের সর্বস্তরে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এমনকি কূটনৈতিক মহল থেকেও সরাসরি প্রতিক্রিয়া আসে। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্বের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্বশীল রাজনৈতিক আচরণের পরিপন্থি। দলীয় গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শের বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার কারণে সংগঠনের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। ইতোপূর্বে শাহজাহান চৌধুরীকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তার আচরণে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নির্দেশে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশে আরও বলা হয়, কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— তা লিখিতভাবে জানাতে হবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow