শিক্ষকদের জন্য এলো সুখবর, আলোচিত সেই নোটিশ প্রত্যাহার

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ‘১১টি পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না’—এমন নির্দেশনা সংবলিত আলোচিত নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে নোটিশ প্রকাশের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, *‘১৪/১২/২০২৫ ইং তারিখের স্মারক নং–উমাশি/বৃত্তি/২০২৫/৩২৪ পত্রটি প্রত্যাহার করা হলো এবং পত্রটি প্রকাশে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’* এর আগে প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা–২০২৫ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পূর্ণকালীন ও সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত পেশায় নিয়োজিত। তাই তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও সময়ের যথাযথ ব্যবহারের স্বার্থে শিক্ষকতার পাশাপাশি অতিরিক্ত লাভজনক পেশায় যুক্ত হওয়া নীতিগতভাবে নিষিদ্ধ। নোটিশে যেসব পেশা নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ বলা হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল—সাংবাদিকতা (বাণিজ্যিকভাবে), আইন পেশা, কোচিং সেন্টার পরিচালনা বা সেখানে শি

শিক্ষকদের জন্য এলো সুখবর, আলোচিত সেই নোটিশ প্রত্যাহার

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ‘১১টি পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না’—এমন নির্দেশনা সংবলিত আলোচিত নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে নোটিশ প্রকাশের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, *‘১৪/১২/২০২৫ ইং তারিখের স্মারক নং–উমাশি/বৃত্তি/২০২৫/৩২৪ পত্রটি প্রত্যাহার করা হলো এবং পত্রটি প্রকাশে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’*

এর আগে প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা–২০২৫ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পূর্ণকালীন ও সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত পেশায় নিয়োজিত। তাই তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও সময়ের যথাযথ ব্যবহারের স্বার্থে শিক্ষকতার পাশাপাশি অতিরিক্ত লাভজনক পেশায় যুক্ত হওয়া নীতিগতভাবে নিষিদ্ধ।

নোটিশে যেসব পেশা নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ বলা হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল—
সাংবাদিকতা (বাণিজ্যিকভাবে), আইন পেশা, কোচিং সেন্টার পরিচালনা বা সেখানে শিক্ষকতা, প্রাইভেট বা কেজি স্কুল পরিচালনা, শিক্ষাবিষয়ক প্রকাশনা ব্যবসা, হজ এজেন্ট বা এর মার্কেটিং, বিয়ের কাজী বা ঘটকালী পেশা, টং দোকান বা ক্ষুদ্র ব্যবসা, ঠিকাদারি বা নির্মাণ ব্যবসা, মসজিদের পূর্ণকালীন ইমামতি বা খতিবের দায়িত্ব এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিশেষ সহকারী বা চাটুকার হিসেবে কাজ করা।

নোটিশটি প্রকাশের পর দেশব্যাপী শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতেই আজ বুধবার নির্দেশনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হলো।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow