শিশু জায়ান হত্যায় রশির সূত্র ধরে গ্রেফতার প্রতিবেশী
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জায়ান রহমান (৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইউনুচ মোল্যা নামের এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝুলন্ত মরদেহে ব্যবহৃত রশির সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইউনুচ মোল্যাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) তাকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। গ্রেফতার ইউনুচ মোল্যা আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে। থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে শিশুটির ঝুলন্ত রশিটি। পুলিশ ওই রশির আলামত ধরে তদন্তে অগ্রসর হতে থাকে। তদন্তে পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে রশ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জায়ান রহমান (৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইউনুচ মোল্যা নামের এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝুলন্ত মরদেহে ব্যবহৃত রশির সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইউনুচ মোল্যাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) তাকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়।
গ্রেফতার ইউনুচ মোল্যা আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে শিশুটির ঝুলন্ত রশিটি। পুলিশ ওই রশির আলামত ধরে তদন্তে অগ্রসর হতে থাকে।
তদন্তে পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে রশিটি কেনার তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা মফিজ খানের দোকান থেকে রশি কিনেছিলেন, যার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া রশির মিল রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই ইউনুচ মোল্যাকে সন্দেহের তালিকায় এনে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করেন ইউনুচ মোল্যা। পুলিশের দাবি, এই অস্বীকারের ফলেই তাদের সন্দেহ আরও জোরালো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস জানান, মামলার নিবিড় তদন্ত পরিচালনার স্বার্থে এবং হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ঘটনার সঙ্গে কিছুটা সম্পৃক্ততা ও রশি কেনার বিষয়ে মিথ্যা বলার কারণে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এজন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এমএস
What's Your Reaction?