শিশু সাজিদের শোকে স্তব্ধ বাংলাদেশ
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত দুই বছরের শিশু সাজিদকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছে হাজারো মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করলেও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। দুর্ঘটনার শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। তারা ঘটনার আপডেট জানাচ্ছিলেন। শেষ খবরে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন সবাই। সেই শোকবার্তা ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। মিথিলা ফারজানা লোপা লিখেছেন, ‘একটা আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স রাখা উচিত ছিল। সাথে সাথে অক্সিজেন মাস্ক পরানোর দরকার ছিল। এত ভিড় করে ছবি তুলে কী লাভ হয় মানুষের?’ রবিউল কমল লিখেছেন, ‘মায়ের কোল থেকে মাটির কোলে ঘুমিয়ে গেল শিশু সাজিদ। জান্নাতের ফুল হয়ে ফুটে থাকুক সাজিদ। কোনো অন্ধকার আর তাকে ছুঁতে পারবে না। এই দেশের নোংরা রাজনীতি, দুর্নীতি দেখতে হলো না তাকে। অথচ সে জানেই না, তার মৃত্যুর পেছনে রাষ্ট্রযন্ত্রেরও দায় আছে! এই মৃত্যুগুলো সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে যায়। কিন্তু কোনো সরকারের বিবেককে নাড়া দিতে পারে না। তারা চেয়ারের লোভে রাতদিন মিথ্
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত দুই বছরের শিশু সাজিদকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছে হাজারো মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করলেও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। দুর্ঘটনার শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। তারা ঘটনার আপডেট জানাচ্ছিলেন। শেষ খবরে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন সবাই। সেই শোকবার্তা ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়।
মিথিলা ফারজানা লোপা লিখেছেন, ‘একটা আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স রাখা উচিত ছিল। সাথে সাথে অক্সিজেন মাস্ক পরানোর দরকার ছিল। এত ভিড় করে ছবি তুলে কী লাভ হয় মানুষের?’
রবিউল কমল লিখেছেন, ‘মায়ের কোল থেকে মাটির কোলে ঘুমিয়ে গেল শিশু সাজিদ। জান্নাতের ফুল হয়ে ফুটে থাকুক সাজিদ। কোনো অন্ধকার আর তাকে ছুঁতে পারবে না। এই দেশের নোংরা রাজনীতি, দুর্নীতি দেখতে হলো না তাকে। অথচ সে জানেই না, তার মৃত্যুর পেছনে রাষ্ট্রযন্ত্রেরও দায় আছে! এই মৃত্যুগুলো সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে যায়। কিন্তু কোনো সরকারের বিবেককে নাড়া দিতে পারে না। তারা চেয়ারের লোভে রাতদিন মিথ্যা নাটক করে যায়। কোনো রাজনৈতিক দলকে নাড়া দিতে পারে না। কারণ তারা মানুষের লাশের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় যেতে অভ্যস্ত। সামান্য একটা শিশুর মৃত্যুতে তাদের কিছু যায় আসে না।’
ফরিদুল ইসলাম নির্জন লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সাজিদকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাচ্চাটিকে দেখে চোখ ভিজে গেছে। আবার তার মাকে মা বলে ডাকুক। ৩২ ঘণ্টা পর গভীর নলকূপের গর্ত থেকে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মন থেকে দোয়া। আপডেট: বাচ্চাটি বেঁচে নেই।’
আরও পড়ুন
দুই হাতহীন শিশুর দায়িত্ব নিলেন মিরাজ আফ্রিদি
সততা এখনো বিলুপ্ত হয়নি, মানবতা এখনো জীবিত
শাহজালাল রোহান লিখেছেন, ‘শিশু সাজিদকে বাঁচানো গেল না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
মোজাফ্ফর হোসেন লিখেছেন, ‘সব শেষ। শিশুটি নেই। আমাদের অব্যবস্থাপনায়, আমাদের মৃত্যুর ফাঁদে ঝরে গেল আরও একটি নিষ্পাপ ফুল। পাপীরা বেঁচে থাকবে, ফুলগুলো সব ঝরে যাবে। এদেশ শুধু পাপ এবং পাপীর। শিশুদের জন্য এই দেশ না। এইরকম ভয়ংকর মৃত্যু কেন, কার জন্য? জবাব দেবে কে? আমরা সবাই, পুরো দেশবাসী দোয়া করেছি শিশুটির জন্য, কিন্তু পুরো দেশবাসী শিশুটির এই পরিণতি যাতে না হয় সেজন্য কাজ করিনি কখনো। এভাবে হোক কিংবা অন্যভাবে, শিশুদের আমরা হত্যা করছি প্রতিনিয়ত। আমাদের দোয়া প্রার্থনা ব্যর্থ হতে বাধ্য।’
আইয়ুব আল আমিন লিখেছেন, ‘সাজিদ বেঁচে নেই। এইটুকু একটা বাচ্চা পৃথিবীটা কেমন দেখে গেল শেষ নিঃশ্বাসের আগে!’
রাফায়েত রোমান লিখেছেন, ‘আল্লাহ শিশু সাজিদকে তার মেহমান করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শিশুটির বেঁচে যাওয়ার খবর এত ভালো লেগেছিল, মনে হয়েছিল এই বছরের সবচেয়ে ভালো খবর। এই ভালো লাগাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না।’
এসইউ
What's Your Reaction?