শীতে গুড়ের চা স্বাস্থ্যকর তো!

শীতের সকাল মানেই কুয়াশা, হালকা রোদ আর হাতে গরম এক কাপ চা। আর সেই চায়ে যদি চিনি নয়, গুড় ব্যবহার করা হয়—তাহলে স্বাদ আর উপকারিতা দুটোই বাড়ে। গুড়ের চা শুধু মন ভালো করে না, শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতেও দারুণ কাজ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে গুড়ের চা পান করলে নানা স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। চলুন সহজ ভাষায় জেনে নেওয়া যাক, শীতে গুড়ের চা কেন ভালো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : গুড়ে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শীতে সর্দি-কাশি কম ধরতে সাহায্য করে। শরীর গরম রাখে : এক কাপ গুড়ের চা শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা দেয়। শীতজনিত ঠাণ্ডা ও অস্বস্তি কমাতে এটি বেশ কার্যকর। কাশি ও কফের সমস্যা কমায় : গুড় কফ পাতলা করতে সাহায্য করে। কাশি, অ্যাজমা বা বুকে কফ জমার সমস্যায় আরাম দেয়। শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে : গুড়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এতে লিভার ও হজম ভালো থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে : গুড়ে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। হজমশক্তি বাড়ায় : গুড় হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় করে। গ্যাস,

শীতে গুড়ের চা স্বাস্থ্যকর তো!

শীতের সকাল মানেই কুয়াশা, হালকা রোদ আর হাতে গরম এক কাপ চা। আর সেই চায়ে যদি চিনি নয়, গুড় ব্যবহার করা হয়—তাহলে স্বাদ আর উপকারিতা দুটোই বাড়ে। গুড়ের চা শুধু মন ভালো করে না, শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতেও দারুণ কাজ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে গুড়ের চা পান করলে নানা স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। চলুন সহজ ভাষায় জেনে নেওয়া যাক, শীতে গুড়ের চা কেন ভালো।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : গুড়ে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শীতে সর্দি-কাশি কম ধরতে সাহায্য করে।

শরীর গরম রাখে : এক কাপ গুড়ের চা শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা দেয়। শীতজনিত ঠাণ্ডা ও অস্বস্তি কমাতে এটি বেশ কার্যকর।

কাশি ও কফের সমস্যা কমায় : গুড় কফ পাতলা করতে সাহায্য করে। কাশি, অ্যাজমা বা বুকে কফ জমার সমস্যায় আরাম দেয়।

শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে : গুড়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এতে লিভার ও হজম ভালো থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে : গুড়ে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।

হজমশক্তি বাড়ায় : গুড় হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় করে। গ্যাস, বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে উপকারী।

রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে : গুড় আয়রনের ভালো উৎস। নিয়মিত গুড়ের চা পান করলে হিমোগ্লোবিন বাড়তে সহায়তা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করলে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে। এটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

জোড়া ও পেশির ব্যথা কমায় : গুড়ের প্রদাহনাশক গুণ শীতকালে জয়েন্ট ও পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

দ্রুত শক্তি জোগায় : গুড় সহজে শক্তি দেয়। শীতে ক্লান্ত লাগলে এক কাপ গুড়ের চা শরীরকে চাঙা করে তোলে।

সব মিলিয়ে, গুড়ের চা শীতকালে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, গুড়ও এক ধরনের চিনি। তাই বেশি না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে পান করাই ভালো। ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গুড়ের চা পান করুন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow